“দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর নৌবাহিনী ডুবরী দল ডুবে যাওয়া ভ্রমণকারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে”

কর্ণফুলীতে নৌকা থেকে পড়ে ভ্রমণকারী নিহত

fec-image

ঢাকা শ্যামলী ও কল্যাণপুর থেকে দুই বন্ধু কাপ্তাই বেড়াতে এসে কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণ করতে গিয়ে আরাফাত হোসেন মিশু (২৫) নামে এক বন্ধু বিকেল সাড়ে ৫টায় পানিতে পড়ে।

অন্য বন্ধু আশির শাহ অর্ক জানান, আমরা দুই বন্ধু প্রশান্তি পার্কের পাশে কর্ণফুলী নদীতে নৌকা যোগে বিকেলে ঘুরছিলাম হঠাৎ নৌকা থেকে কিনারে ওঠার সময় আমার বন্ধু মিশু পানিতে পড়ে যায়। আমি একটি বাঁশ দিয়ে উদ্ধার করতে চাইলে সে হঠাৎ পানির গভীরে তলিয়ে যায়। এসময় আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে।

ঢাকা কল্যাণপুর এলাকার ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে আরাফাত হোসেন মিশু ও শ্যামলী বসবাসরত চলচিচত্র অভিনেতা নানাশাহ ছেলে আশিরশাহ অর্ক দু’দিন পূর্বে কাপ্তাই বেড়াতে আসে।

তারা দুই বন্ধু বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ শেষে কাপ্তাই বালুরচর নামক প্রশান্তি পার্কে বিকেলে পার্শ্ববতী কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ভ্রমণ করে। নদীতে নৌকা ভ্রমণ শেষে তীরে ওঠার সময় পা পিছলে মিশুক পানিতে পড়ে যায়। বন্ধুকে উদ্ধারের জন্য নৌকায় রাখা একটি বাঁশ সামনে দিলে সে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এদিকে বন্ধুর জন্য অর্ক আর্তচিৎকার করা হলে পাশের মানুষজন দ্রুত ছুটে আসে। এবং এর পূর্বেই পানির নীচে তলিয়ে যায়।

এদিকে প্রশান্তি পার্কের মালিক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন সংবাদ পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে।

এছাড়াও এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে তারা উদ্ধার কাজে তৎপরতা চালায়। এদিকে কাপ্তাই নৌবাহিনী ডুবরী সন্ধ্যায় উদ্ধারের জন্য কর্ণফুলী নদীতে খুঁজতে থাকে।

দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা পর নৌবাহিনী ডুবরী দল ডুবে যাওয়া ভ্রমণকারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাপ্তাই সার্কেল জুনায়েত কাউছার, কাপ্তাই থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নুর, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন ছুটে আসে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, বেড়াতে আশা এক ব্যক্তি পানিতে পড়ার সংবাদ শুনে ছুটে আসি এবং উদ্ধারের জন্য ডুবরীকে খবর দিলে তারা পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে নিখোঁজকে পানি থেকে মৃত উদ্ধার করে। এছাড়া নিহত ভ্রমণকারীর পরিবারদের খবর দেই। তারাও ঢাকা থেকে কাপ্তাই রওনা দিয়েছে। লাশ ও অন্য বন্ধু কাপ্তাই থানা হেফাজতে আছে বলেও তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন