parbattanews

কাউখালীতে পর্যটকের মাথা ফাটালেন আওয়ামী লীগ নেতা

রাঙামাটির কাউখালী কলাবাগান ঝর্ণাতে ঘুরতে এসে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর ও তার ছেলে বাদশার হাতে মারধরের স্বীকার হয়েছেন এক পর্যটক।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে কাউখালী উপজেলার একমাত্র পর্যটন স্পট ঘাগড়া কলাবাগান ঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের স্বীকার পর্যটক সাখাওয়াত হোসেন(২৪) রাঙামাটি জেলা সদরের রিজার্ভ বাজার এলাকার মো. কালু মিয়ার ছেলে জানা গেছে। ঘটনার পর সাথে থাকা বন্ধুরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক জানান, আহত ঐ পর্যটকের মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

আহত পর্যটক সাখাওয়াত জানান, রাঙামাটি জেলা শহর থেকে ১২ জন বন্ধু মিলে ঘুড়তে আসেন ঘাগড়া ঝর্ণাতে। ঝর্ণায় যাওয়ার পথে স্থানীয় ঘাগড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জাফরের ছেলে বাদশার দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করেন। এসময় জিনিসের দাম বেশি নিলে ঐ পর্যটক প্রতিবাদ করেন। কথাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে দোকানদার বাদশা ঐ পর্যটকের মাথায় গাছ দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। এসময় পাশে থাকা বন্ধুরা এগিয়ে আসলে সকলের উপর আওয়ামী লীগ নেতা জাফর ও তার পরিবারের মহিলা সদস্যরা চড়াও হন বলে অভিযোগ করেন ঐ পর্যটক। এসময় দুটি মোবাইল ও ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেন।

মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাফর জানান, ঘুরতে আসা পর্যটকরা সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলের সাথে ঝগড়া বাধায়। এসময় পর্যটক দলে থাকা ১০-১২ জন মিলে আমার ছেলেকে কিল ঘুষি মেরে আহত করেন। খবর পেয়ে আমি এসে বাঁধা দিলে তারা আমাকেও মারার জন্য তেড়ে আসেন। হাতাহাতির এক পর্যায়ে ঐ পর্যটক কিছুটা আহত হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে আহত পর্যটক কাউখালী থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন। কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী জানান, রাঙামাটি থেকে ঘুড়তে আসা একজন পর্যটক মারধরের স্বীকার হয়েছেন এবং তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

Exit mobile version