parbattanews

কাউখালীতে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কাউখালী প্রতিনিধি:

কাউখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে রোববার কাউখালীর পোয়াপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. শামছুল আরেফীন।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ইউপি নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে হাত পা ভেঙ্গে গুড়ো করে দেয়া হবে। ব্যালট ছিনতাই, ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে গুলি চালাবে পুলিশ ও বিজিবি।

জেলা প্রশাসক বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কোন দলের হতে পারে না। পাহাড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সন্ত্রাসীস সৃষ্টিকারী ও অস্ত্রধারীদের প্রতিটি মূহুর্ত সরকারের নখদর্পে রয়েছে। খুব শীঘ্রই এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের নির্মূল করা হবে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপ্তা ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কোন গোষ্ঠী, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মংসুইউ চৌধুরী, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম।

সভায় বরাবরে মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অনেক অভিযোগ জমা হতে থাকে জেলা প্রশাসকের সামনে। একে একে বক্তব্য দেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। কলমপতি ইউনিয়ন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন, ঘাগড়া ইউপি থেকে খোরশেদ আলম, বেতবুনিয়া ইউপি থেকে মো. শওকত হোসেন অভিযোগ করেন, আমরা ঠিকমত পোস্টার লাগাতে পারছি না। যেসব স্থানে পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে সেসব স্থান থেকে প্রায় পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ব্যালট ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের হুমকী প্রদান করা হচ্ছে।

ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শান্তিমনি চাকমা অভিযোগ করেন, যেখানে প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন, সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আমরা আমাদের ভোটাধিকার চাই। বিভিন্ন স্থান থেকে ভোট ডাকাতির হুমকী আসছে। বাহিরাগতদের এনে কেন্দ্র দখলের ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট সাবেক মেম্বার অংসুইপ্রু চৌধুরীকে গুলি করার হুমকী দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। শান্তিমনি চাকমা আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।

সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ক্যজাই মারমা, বেলাল উদ্দিন ও খইচাবাই মারমা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীরা কোথাও বিরোধী ও স্বতন্ত্রী প্রার্থীদের হয়রানি করছে না। এ ধরণের কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তারা বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করতে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগীতা করে যাবো।

রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা আপনার নির্ভয়ে প্রচারণা চালান। কোন প্রকার বাঁধার সম্মুখীন হলে সাথে সাথে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না করলে আমার নাম্বারে ফোন করে জানান।

তিনি বলেন, এলাকায় কোন বহিরাগত লোকজন থাকলে নির্বাচনের পূর্বে সরে যান। নচেৎ তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version