কাউখালীর ১১ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এবং বনাঞ্চলের নিরাপত্তায় রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার কলমপতি ও বেতবুনিয়া ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১টি ইটভাটা বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি এসব ইটভাটাকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আতিকুর রহমান জানান, মহামান্য হাইকোটের নির্দেশনা মোতাবেক কাউখালী উপজেলাতে অবস্থিত অবৈধ ইটভাটা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে ১১টি ইটভাটা বন্ধ ও সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো জেবিএম, এটিএম, এমএন্ডসি, এসবিডাইলিউ, এমবি সহ আরো ৫টি ইইটভাটা। এসময় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রতিটা ইটভাটায় আদালতের নির্দেশনা সম্বলিত স্থায়ী বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল নুর। অভিযানে সহযোগীতা করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম। কাউখালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক, বনবিভাগের কর্মকর্তা সহ অনেকে।
অপরদিকে কাউখালীর উপজেলার সীন্তবর্তী রাগুনিয়া উপজেলার শতাধিক অবৈধ ইটভাটা কাউখালীসহ আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বন বিভাগের রিজার্ভ এলাকা বেষ্টিত রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় রয়েছে কয়েকশ ইটভাটা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পূর্বে এবং বর্তমানে বন বিভাগের এসব বাগান কেটে শতাধিক ইটভাটায় পাচার করার অভিযোগও রয়েছে। পাশাপাশি এসব ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে কাউখালী ও আশেপাশের উর্বর কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি সংগ্রহ করার অভিযোগও রয়েছে। ৭০শতাংশ ইটভাটার জ্বালানি কাঠ ও মাটি পাচার হয়ে থাকে এসব স্থান থকে। ভৌগলিক অবস্থার কারনে রাগুনিয়ার বিশাল একটা অংশ কাউখালী উপজেলার মধ্যে পড়ে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব ইটভাটা গুলো গড়ে তোলে একটি চক্র। এসব ইটভাটা কাউখালী উপজেলার দাবী করে হলেও মূলতঃ সিংহভাগ ভাটাই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় অবস্থিত। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনীয়া উপজেলা প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
















