কাজ না করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেট সংস্কারের বরাদ্দকৃত দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

fec-image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৬ নম্বর মাইনীমুখ ইউনিয়নে ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল খাত, মৌলিক থোক বরাদ্দ (বিবিজি) থেকে ২য় কিস্তির বরাদ্দের টাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তলন ও রাস্তা মেরামতের নামে লুটে নিয়েছে দায়িত্বশীলরা।

জানা যায়, মাইনীমুখ হাই স্কুলের ওয়াশরুম সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিল থেকে ২ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই টাকা ইউপি সদস্য রাবেয়া আক্তারের (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির) হাতে বুঝিয়ে দেয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল।

মাইনীমুখ মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, কয়েকমাস আগে আমাদের স্কুলের ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে এমপি এসেছিলেন, তখন তাড়াহুড়ো করে ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি ফয়জুল আজীম নিজে একটি ওয়াশ রুম বানিয়ে দেয়। এছাড়া কারা ওয়াশ রুম সংস্কার বাবদ বরাদ্দ নিয়ে আসছে, কিসের বরাদ্দ এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে বিগত সরকারের পতনের পর থেকে শুনতেছি আমাদের স্কুলের ওয়াশ রুমের সংস্কারের নামে বাজেট আসছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ২০০ টাকা।

মাইনীমুখ মডেল হাই স্কুলের বর্তমান সভাপতি ইসমাইল হোসেন জানান, প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা আপনার কাছেই প্রথম জানলাম।

তবে এসব সকল বিষয় অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ও উক্ত প্রকল্পের সভাপতি রাবেয়া বেগম বলেন, বরাদ্দ পেয়ে মাইনীমুখ মডেল হাই স্কুলের ২টি টয়লেট সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমাল হোসেন কমল বলেন, উক্ত বিষয়ের বরাদ্দের কাজ এখনো শেষ হয়নি। শেষ হলে আপনাদের জানানো হবে। এবিষয়ে ইউপি সদস্য রাবেয়া জানেনা তাই বলেছে কাজ শেষ হয়েছে।

অপরদিকে একই বরাদ্দের লংগদু রোড থেকে ভারত চন্দ্র চাকমার বাড়ী পর্যন্ত, রাস্তায় ইট সলিং প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজ না করারও অভিযোগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন