কাপ্তাইয়ে আগর বনায়নে ১৫ বছর মেয়াদ শেষ, হতাশায় চাষীরা
পরীক্ষকামূলক আগর উৎপাদন করে মান বুঝা যাবে। উৎপাদনে ভালো কিছু পেলে উভয়ের সফলতা আসবে। সিলেট বড়লেখা হতে আগর চাষ ও উৎপাদনে অভিজ্ঞ কিছু লোক কাপ্তাই আগর বাগান সরজমিনে পরিদর্শন করে এবং এর সফলতা ও বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ ২০০৭-০৮সালে ১৫ বছরের জন্য কাপ্তাই একটি আগর চাষ প্রকল্প হাতে নেয় এবং বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকদের সাথে প্রায় দেড়শ জন আগর চাষী অংশীদারভিত্তিতে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হন। ১৫ বছর প্রায় শেষ।পার্বত্যঞ্চলে এধরনের চাষ এটিই প্রথম বলে আগর চাষীরা মত প্রকাশ করে।
আগর চাষী জাহাঙ্গীর আলম, স্বপন বড়ুয়া,প্রদীপ দে নজরুল ইসলাম এরা জানান, আগর লাভের আশায় ১৫ বছর যাবত লাখ, লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কিন্ত কখন এর সুফল পাব জানিনা। বন বিভাগের সাথে এ বিষয়ে একাধিক বার বৈঠকে বসার চেষ্টা করেও বর্থ হয়েছে। কেউ এ প্রকল্পের বিষয়ে আগর চাষীদের সুষ্ঠ সমাধান দেয়নি।
কাপ্তাই আগর চাষী সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল জানান, লাভের আশায় বন বিভাগের সাথে অংশীদার ভিত্তিত্বে ১৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্ত বন বিভাগের এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আগর ১৫ বছর পূর্ণহলে করণীয় কি? সে ব্যাপারেও কোন সুষ্ঠ সূরাহ দেয়নি বলে জানান।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট হতে আগর চাষে অভিজ্ঞদের কাপ্তাই আগর বাগানে আনা হয়। পর্যবেক্ষক প্রফেসর আবদুল ছবুর জানান, আগে একটি বাগান পরীক্ষামূলক উৎপাদন করলে এর কতটুকু মান বা আগর আসছে কিনা তা বুঝা যাবে। তিনি বলেন, আগর চাষে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।
রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকর মাহামুদুল হক মুরাদ জানান, বিষটি আমার একার নয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ বন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা বা বৈঠক বসলে সমাধান হবে এবং উভয় এর সুফল ভোগ করতে পারবে।
আগর সমিতির লোকজন জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে কাপ্তাইয়ে একটি বৈঠক বসার কথা রয়েছে।