parbattanews

কাপ্তাইয়ে উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন হচ্ছে

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাপ্তাইয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের পর পরই এই প্রকল্প থেকে সৌর শক্তির সাহায্যে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। জানা গেছে, এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। আর এই সৌর বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে যে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তাতে উৎপাদন খরচ হবে অত্যন্ত কম। এছাড়াও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫টি জেনারেটরের মাধ্যমে যে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে তাতেও উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে।

সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মূল ঠিকাদার চীনের জেডটিই করপোরেশন। উদ্বোধনের পর সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রথম দুই বছর দায়িত্ব থাকবে জেডটিইর কাছে। পরে এর সার্বিক দায়িত্ব নেবে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ২০ একর জায়গায় সারি সারি সৌর প্যানেল বসানো রয়েছে। চীনের জেডটিই করপোরেশনের প্রকৌশলীরা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বসে অফিস করছেন। উৎপাদন চলাকালীন সময় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটতে পারে। সেগুলো তাৎক্ষনিক সমাধান দিচ্ছেন চীনের জেডটিই করপোরেশনের প্রকৌশলীরা।

তবে তাদের সাথে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী ও কর্মকতারাও কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কাপ্তাই ভ্রমণে আসছেন।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট সৌর প্যানেল রয়েছে ২৪ হাজার ১২টি। ইনভার্টার রয়েছে ২৪০টি। প্যানেল গুলোর মেয়াদ থাকবে ২৫ বছর। আর ইনভার্টারের ওয়ারেন্টি থাকবে ১০ বছর। মেয়াদ ও ওয়ারেন্টি শেষে প্যানেল ও ইনভার্টার পরিবর্তন করে উৎপাদন সচল রাখা যাবে। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ৭.৪ মেগাওয়াট হলেও আবহাওয়া অনুযায়ী উৎপাদনের তারতম্য হতে পারে। পরিবেশসম্মত জ্বালানি ব্যবহার করে বছরে এক কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই প্রজেক্ট তথা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় কাপ্তাই প্রধান বাঁধের নিচে পড়ে থাকা প্রায় ২০ একর জামিতে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। পুরো প্রকল্প এলাকা সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।

Exit mobile version