parbattanews

কাপ্তাইয়ে ডেইরি ফার্ম করে মাসে চল্লিশ হাজার টাকা আয়

AKED 1 (1) copy

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই লগগেইট এলাকার মসজিদের পাশে বসবাসরত সফল পরিশ্রমী উদিয়মান যুবক নামকরা এক ফুটবলার ডেইরি ফার্ম করে প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা আয় করে আজ স্বাবলম্বী। পাশাপাশি উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে আগামী ঈদে পঞ্চাশ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানালেন সফল যুবক কাজী আকিদুর রহমান (৩২)।

সে কাজী খলিলুর রহমান ছেলে। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সকলের ছোট আকিদুর রহমান। সকল ভাই ব্যবসা চাকুরি করলেও সে সবার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম বা আলাদা। চাকুরির কথা শুনতে পাড়ে না। চাকুরি আজ আছে কাল নেই। মেধা আর সৎসাহস থাকলে কোন কিছু দমিয়ে রাখা যায় না বলে তিনি জানান।

প্রতিমাসে এত টাকা রোজগার করার রহস্যজানালেন সফল যবুক আকিদ। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সখের বসে একটি ছাগল লালন-পালন করে সেই ছাগল থেকে বেশকিছু ছাগল জন্ম নেয়। তা বিক্রয় করে একাশি হাজার টাকা দিয়ে ৬কেজি লিটার দুধ দেওয়া একটি গাভী ক্রয় করে নিজে লালন-পালন করি। একটি গাভী থেকে চার বছরের মধ্যে তিনটি গাভী ও তিনটি বাছুর রয়েছে। এই তিনটি গাভী হতে প্রতিদিন ৩৬ লিটার দুধ পাচ্ছেন তিনি।

তা বিক্রয় করে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে চল্লিশ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে বলে জানান আকিদুর। এর পাশাপাশি উন্নতজাতের নেপীয়ার গরুও ঘাস চাষ করছে। আগামী কুরবানী ঈদে এ ঘাস বিক্রয় করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হবে বলে জানান তিনি।

আকিদুর আরো জানান, আমার দেখা দেখি শিক্ষিত অনেক যুবক চাকুরি না করে আমার নিকট পরামর্শ নিয়ে আজ তারাও সফল। এলাকার রুবেল, সাইফুলসহ অনেক বেকার যুবক আজ এ ডেইরি ফার্ম করছে। সফল যুবক জানায়, কোন কাজ ছোট নয় বা কাউকে ছোট করে দেখা ঠিক নয়। আজ যারা দেশের উচ্চ পর্যায়ের শিড়িতে বসে আছে তাদের পিছনে রয়েছে মনবল, সৎ সাহস আর পরিশ্রম করা ইতিহাস। আমি আড্ড, দুর্নীতি, খারাপ কোন কিছুই পছন্দ করি না। শুধু জানি কাজ আর কাজ।

উদিয়মান যুবক শুধু ডেইরি ফার্মে জড়িত নয় কাপ্তাই উপজেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা একজন ফুটবল খেলোয়ার হিসাবেও ব্যাপক নাম ডাক রয়েছে। তিনি বলেন, কাপ্তাই সেনা বাহিনীর অনেক খেলায় তাকে কোর্সার হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়। পাড়লে মানুষের উপকার করে।

আকিদুল আরো বলেন, কোন যুবককে সরকার লোন দিলে আগে ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। অনেকে টাকা নিয়ে কাজ করে না। তাই দেখে শুনে লোন দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সঠিক পশু চিকিৎসকরা যেন এ ধররেন খামারিদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করে সে দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান সে। তার ইচ্ছা একটি এতিম খানা এবং একটি বিদ্যাশ্রম করা। সরকারের সহযেগীতা পেলে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন বলে ইচ্ছ প্রকাশ করেন।

Exit mobile version