কাপ্তাইয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জেলা মুক্তিযোদ্বা কমান্ডারের সমাধি

fec-image

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা খিয়াং পাড়া নিজ বাসভবন সম্মুখে প্রিয়তমা স্ত্রী আরতি বাড়ৈ এবং ছেলে নয়ন বাড়ৈ এর সমাধির পাশে রাঙ্গামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জাতীর সুর্য্য সন্তান রবার্ট রোনাল্ড পিন্টুকে সমাধিস্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল সংলগ্ন শহীদ মিনার চত্ত্বরে সর্বস্বরের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কাপ্তাই থানা পুলিশের উদ্যোগে গার্ড অফ অনার প্রদান শেষে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চির বিদায় জানানো হয়।

দীর্ঘদিন ধরে জটিল লিভার সিরোসিস রোগে ভোগার পর গত ১২ আগস্ট বিকেল ৩ টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্হায় চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে শেষ নি:শাষ ত্যাগ করেন।

৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা ১ নং সেক্টরের অধীনে সম্মুখ সমরে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। তিনি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য‘সহ নানা সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।

শেষ বিদায় বেলায় এই সময় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ডেপুটি কমান্ডার ইস্রাফিল হোসেন, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াংসহ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রয়াতের পরিবার পরিজন এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্হিত থেকে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

প্রয়াত রবার্ট রোনাল্ড পিন্টুর বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা চালর্স ডিকে বাড়ৈ( মানিক) জানান, যুদ্ধকালীন আমরা একই মায়ের সন্তান ৩ ভাই যুদ্ধে চলে যায়।চট্রগ্রাম কালুরঘাট ১নং সেক্টরের অধীনে ব্রিজের ওপারে থেকে একসাথে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করি।

সর্বশেষ রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার হরিনা নামক স্থানে শত্রুপক্ষের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমার ভাই পিন্টু আহত হন। আজ সেই আমাদের মাঝে নেই।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই, মুক্তিযোদ্বা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন