parbattanews

কাপ্তাইয়ে ১০ শয্যা হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থা

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলাস্থ লগ গেইট এলাকায় কাপ্তাই সড়কের পার্শ্ববতী টিলার ওপর অবস্থিত‘ কাপ্তাই ১০ শয্যা হাসপাতাল’। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ হাসপাতালটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমানে হাসপাতালের অবস্থা এমন হয়েছে রোগীর চিকিৎসার পূর্বে হাসপাতালের চিকিৎসা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

উক্ত হাসপাতালটি ৪নং ইউপি এলাকায় অবস্থিত। এখানে প্রায় ১২/১৩হাজার লোকের বসবাস। তাছাড়া পাশ্ববর্তী উপজেলা হতে এখানে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে।

সরেজমিনে হাসপাতার ঘুরে দেখা যায়,হাসপাতালের প্রতিটি সেবার কক্ষ, ডাক্তার, রোগী,কর্মচারী বা তাদের থাকার আবাসস্থলের করুন অবস্থা।

হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষের উপরের টিন নষ্ট হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে সয়লাব হয়ে যায়। রোগী সেবা নিতে বা ডাক্তার সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। একটু বৃষ্টি পড়লেই রোগী দাঁড়িয়ে থেকে সেবা নেওয়ার মত আর কোন পরিবেশ থাকেনা।

তাছাড়া ডাক্তার নার্স, কর্মচারীদেরও একই হাল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আমেনা, বাবুল, হাকিম. বলেন, আমরা বৃষ্টির জন্য হাসপাতালে দাঁড়াতে পারিনা। হাসপাতালের যে অবস্থা বাহিরের বৃষ্টির পূর্বে হাসপাতালে পড়ে সয়লাব হয়ে যায়। এটি প্রশাসন জরুরীভাবে মেরামত করা প্রয়োজন বলে তারা মন্তব্য করেন।

এলাকার সচেতন লোকজন মন্তব্য করেন,যারা ইতোপূর্বে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তালিজোড়া দিয়ে কাজ করেছেন। কাজের মান ছিল অত্যন্ত নিম্ন মানের। যার ফলে বাহিরে বৃষ্টি পড়ার পূর্বে হাসপাতালে পানি পরে সয়লাব হয়ে যায়।

এ হাসপাতালটি পরিচালনা করেন,কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং তাদের পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ হাসপাতালটি দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ নামে শয্যা। কিন্ত কাজে কিছুই নেই। ১২/১৩হাজার লোকজন এ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করলেও কাজে কোন কিছুই নেই।

এখানে রয়েছে ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী সংকট। এখানে ডাক্তারদের থাকার নিয়ম থাকলেও কোন ডাক্তার এখানে থাকেনা। সপ্তাহে একজন ডাক্তার ২/৩ বার কয়েক ঘণ্টার জন্য অবস্থান করে আবার চলে যায়।

এলাকায় কোন রোগী যদি হঠ্যাৎ মারাও যায় মৃত সনদ দেওয়ার মত কোন ডাক্তার পাওয়া যায়না। স্থানীয় ফার্মেসীগুলোর পল্লী চিকিৎকের উপর নির্ভর করতে হয় রোগীদের।

সূত্র মতে জানা যায়, হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে একাধীকবার সংস্কার করার কথা উপরোস্থ কর্মকর্তাদের জানালেও দীর্ঘ দিন যাবৎ তা সংস্কার করা হয়নি।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপ কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী ১০ শয্যা হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে।

তিনি বলেন, আমরা এ হাসপাতালের সমস্যা ও সংস্কার নিয়ে উপরোস্থ চিঠি দিয়ে জানিয়ে রেখেছি। কিছুদিন পূর্বে রাঙ্গামাটি সির্ভিল সার্জন এসেও পরির্দশন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জরাজীর্ণর ফলে ডাক্তার এসেও অবস্থান করতে পারেনা বলে জানান।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ বা উপজেলা প্রকৌশলী এর ব্যবস্থা নিলে হাসপাতালের যৌবন ফিরে পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Exit mobile version