কাপ্তাই আপষ্ট্রিম জেটিঘাটে কচুরিপানার যানজট, ভোগান্তি চরমে
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই আপষ্ট্রিম জেটিঘাটে কচুরিপানার বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ৫ মিনিটের জায়গায় গন্তব্যে পৌঁছতে ১ ঘণ্টা সময় লাগছে।
দেখে মনে হয় মাঠজুড়ে বিশাল সবুজের সমারোহ। প্রতি বছরের ন্যায় কাপ্তাই হ্রদের একমাত্র ব্যবসায়ী প্রাণকেন্দ্র আপষ্ট্রিম জেটিঘাট কচুরিপানার যানজটের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে বিশাল কচুরিপানা জট ছুটে এসে জেটিঘাট ফিসারিঘাটের বিভিন্ন এলাকায় এসে জটলা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীগণ কচুরিপানা জটলা নিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছে। ফলে ছোট, বড় সকলের ব্যবসা প্রায় বন্ধের পথে।
বিলাইছড়ি, রাঙ্গামাটি, বড়কল, মাইনী, মারিশ্যাসহ পাশ্ববর্তী সরকারি-বেসরকারি কর্মরতারা জানান, তারা এ জটের ফলে সঠিক সময় গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী পাঠশালায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন ও মৎস্য সমিতির সম্পাদক নবী হোসেন জানান, কচুরিপানা যানজটের ফলে আমাদের মাছগুলো সঠিক সময় ঘাটে পৌছাতে না পাড়ায় পথেই নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় ইঞ্জিনের পাখা মাঝপথে ভেঙ্গে যাচ্ছে। বেশি পরিমাণ ডিজেল লাগছে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে এতে আর্থিক লস হচ্ছে। তারা রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক, কাপ্তাই পিডিবি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।
কাপ্তাই মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন জানান, এই ধরনের কচুরিপানা যানজট অপসরণের দায়িত্ন কাপ্তাই পিডিবি কর্তৃপক্ষের কারণ এরা প্রতিবছর আপষ্ট্রিম জেটিঘাট ইজারা দিয়ে থাকেন। তাই ব্যবসায়ীদের সমস্যা দূরীকরণে স্থানীয় পিডিবি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন উপকেন্দ্র প্রধান মো. জসিম উদ্দিন জানান, কচুরিপানা যানজটের ফলে বিশাল সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সঠিক সময় ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারছেনা। মাঝ পথে মাছের নৌকা আটকে গিয়ে সময় ও মাছ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করে।