কাপ্তাই লেকে পর্যটকবাহী কোন বোটে ছাদ থাকবে না: সভায় রাঙামাটি প্রশাসন

fec-image

কাপ্তাই হ্রদে নিহত হওয়ার ঘটনায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এক জরুরী সভা করেছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের সন্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বলা হয়- শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কাপ্তাই লেকে পর্যটকবাহী কোন বোটে ছাদ থাকবে না। প্রত্যেক পর্যটককে বাধ্যতামূলক লাইভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে। কাপ্তাই লেকের দূষণ মুক্ত করতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে বলে সভায় জানানো হয়েছে।

সভায় আরও বলা হয়- পর্যটকবাহী বোট, লঞ্চ ও বাসে উচ্চস্বরে মাইক সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে না। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এখন থেকে ট্যুরিস্ট বোটগুলো পরিদর্শনে বের হবেন। বোটের ছাদে উঠা, লঞ্চের ফিটনেস, অতিরিক্ত যাত্রী উঠা-নামা করা যাবে না বলে সভায় জানানো হয়।

এছাড়ও সার্বক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, নৌ-পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ ও পিডব্লিউ’র কর্মীরা উপস্থিত থেকে তদারকি করবেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ সরিজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনাস্থলের বর্ণণা দিতে গিয়ে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে আমি পৃথক দু’টি ঘটনায় উদ্ধার কাজে সরেজমিনে উপস্থিত ছিলাম। আমি কাপ্তাই লেকে ৫নারীর লাশ উদ্ধার দেখেছি। মূলত: দুর্ঘটনা ঘটেছে পাশা-পাশি দু’টি বোট ছিল। এক বোট থেকে অন্য বোটে কামরাঙ্গা দিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সভায় এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস পাল, রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, পর্যটক হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া এবং সমাজ কর্মী মোঃ নুরুল আবছার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙামাটিতে পৃথক ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৭জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে- শুক্রবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে দু’টি বোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫জন, সাপছড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১জন এবং কাপ্তাই হ্রদে বোট ডুবে ১জন নিহত হয়েছে। তবে কাপ্তাই এর ঘটনায় এখনো ২জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন