কাপ্তাই হ্রদে জেগে ওঠা ডুবোচরে মিশ্র ফসলের সমারোহ
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে জেগে ওঠা ডুবোচরে মিশ্র ফসলের সমারোহ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাই হ্রদে জেগে ওঠা ডুবোচরে বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছে মৌসুমি চাষিরা।
জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পযন্ত মৌসুমী চাষিরা অপেক্ষা করতে থাকে হ্রদের পানি কখন কমবে। একটু, একটু পানি কমার পাশাপাশি চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে হ্রদে জেগে ওঠা ডুবোচরে চাষ করতে।
কাপ্তাই, বিলাইছড়িসহ হ্রদের সাথে সংযুক্ত অন্যন্যা উপজেলার চাষিরা মিশ্র ফসল চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। বিলাইছড়ি-কাপ্তাই উপজেলায় জেগে ওঠা চরে ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করেছে যা চোখে পড়ার মতো। ধানের পাশাপাশি তরমুজ, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বড়কটি, বেগুন, ডাঁটাশাক, টমেটো, ঢেড়শ, পূইশাকসহ বিভিন্ন রকমের চাষ করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি মৌসুমি চাষী ঝন্টু মারমা, বিনিবালা চাকমা জানান, আমরা প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি কমার অপেক্ষা করি। পানি কমার সাথে সাথে ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন মিশ্র সবজি ফসল চাষ করে থাকি। এ ফসল বিক্রয় করে চৈত্র, বৈশাখ মাসে হালখাতার লেনদেন করে থাকি। এছাড়া স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়ের নতুন বই খাতা ও অন্যন্যা দেনা পাওনা পরিশোধ করে থাকি।
কেংড়াছড়ির মরিয়ম ও মো. ইদ্রিস জানান, পবিত্র রমজান মাস হওয়ার ফলে মরিচ, টমেটো, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যন্যা ফসল বিক্রয় করে বেশ টাকা উপার্জন করেছি।
কাপ্তাইয়ের লেকের পাশে চাষ করা মৌসুমি চাষি শাহাবুদ্দিন, খলিল, লায়লা বেগম জানান, আগের বছরের চেয়ে এবার চলতি মার্চ মাসে শাক সবজি বিক্রয় করে ভাল টাকা পেয়েছি।
তারা জানান, এবার লেকের পানি অন্যন্যা বছরের তুলনায় দ্রুত কমে গেছে। আমরাও অনেক আগ থেকে চাষ শুরু করেছি। এ কাজে খরচ কম হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ার দরুণ এবার মৌসুমী চাষির সংখ্যা অনেক বেশি ঝুঁকছে।