কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা ও পোনা নিধন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা: চলছে অভিযান

Rangamati karen jal pic-1

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি : 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা-পোনামাছ নিধন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হ্রদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল। জড়িমানা করা হচ্ছে অবৈধ মাছ শিকারীদেরকে।

জানা গেছে, সম্প্রতি রাঙামাটির জুরাছড়ি জোনের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন রিয়াজের নেতৃতে সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কাপ্তাই হ্রদের রাজমনি পাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকার কারেন্ট জাল। তাছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) টহল দল মাইনী থেকে ছেড়ে আসা ১ম লঞ্চে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২’শ ৪০ কেজি কাচকি ও চাপিলা মাছের শুটকি আটক করে।

এসময় রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে শুটকি মাছ পরিবহনের অপরাধে লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ শফিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, হ্রদ এলাকায় অবাধে মা মাছ নিধনের কারণে ১৫-২০ বছর আগেই মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হয়ে পড়ে। সেজন্য হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যাপ্ত পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে। এসব পোনা নিধন এবং বন্ধকালীন সময়ে হ্রদে সবধরণের মাছ শিকার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হ্রদে অবমুক্ত পোনা সংরণ এবং মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধিসহ মাছ শিকার ও পাচার রোধে জেলা জুড়ে সতর্কাবস্থা চলছে।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে গত ১মে রাত ১২টা ১মিঃ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য রাঙমাটি কাপ্তাই হ্রদে সবধরণের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এছাড়া মাছের উৎপাদন বাড়াতে বছরের সব ঋতু ও মৌসুমে ৯ ইঞ্চি সাইজের পর্যন্ত পোনামাছ শিকার নিষিদ্ধ রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে চলতি ডিম ছাড়ার মৌসুমে সুষ্ঠু প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির স্বার্থে মাছধরার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি এ বছর হ্রদ এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্পজাতীয় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। এসব পোনা পর্যায়ক্রমে ডিসিবাংলো, শহীদ মিনার চত্ত্বর, লংগদু ও বরকলের অবতরণ কেন্দ্রে ছাড়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। এসব পোনা ও মা মাছ সংরনের জন্য হ্রদ এলাকায় সার্বণিক পাহারা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সেনা সদস্য, জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড ও বিএফডিসি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন