parbattanews

‘কালবেলা’ অসাপ্ত রেখেই চলে গেলন টুটুল

বিনোদন ডেস্ক:

প্রখ্যাত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল আর নেই। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

সাইদুল আনাম টুটুলের পরিবারের বরাত দিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ও চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক  তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, টুটুল ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওনার ফুসফুসে প্রচুর পানি জমেছিলো। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে তিনি পুনরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তিনি।

টুটুলেরর মরদেহ প্রথমে ‍ওনার শান্তিনগরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে মরদেহ রাতে বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়। ওনার ছোট মেয়ে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর দাফন সম্পন্ন হবে।

গত ১৫ ডিসেম্বর দিনগত রাত ২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন সাইদুল আনাম টুটুল। তখনই তাকে দ্রুত  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাইদুল আনাম টুটুল ১৯৫০ সালের ১ এপ্রিল পুরনো ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা সরকারি মুসলিম স্কুল থেকে ১৯৬৭ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে সাইদুল আনাম টুটুল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন।

টুটুল একাধারে নির্মাতা ও অভিনেতা ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী  রেখে গেছেন। তার দুই মেয়ে ঐশী আনাম ও অমৃতা আনাম যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। বাবার অসুস্থতার খবর শুনে বড় মেয়ে ঐশী দেশে ফিরলেও ছোট মেয়ে এখনো রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।

টুটুল কাজ করেছেন ছোট ও বড় পর্দায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে ‘কালবেলা’ সিনেমাটি নির্মাণ করছিলেন তিনি। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পরিচালনায় ফিরেছিলেন এ নির্মাতা। কিন্তু কালবেলা আর সমাপ্তি করা হলো না। এর আগে সরকারি অনুদানে নির্মিত তাঁর প্রথম ছবি ‘আঁধিয়ার’ মুক্তি পায় ২০০৩ সালে।

১৯৭৯ সালে ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রে কাজ করে শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান টুটুল। ‘ঘুড্ডি’, ‘দহন’, ‘দীপু নাম্বার টু’ ও ‘দুখাই’র মতো বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এ নির্মাতা ও সম্পাদক।

Exit mobile version