কালারমারছড়ার আত্মসমর্পণকারীরা জামিনে বেরিয়ে আবারো বেপরোয়া!

fec-image

২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলো মহেশখালী-কুতুবদিয়া উপকুলের ৪৩ জলদস্যু ও সন্ত্রাসী। ইতিমধ্যে ওই ৪৩ দস্যুকে সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে বর্তমানে কারামুক্ত হয়ে আবারো সন্ত্রাসী কাজে জড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। বিশেষ করে কালারমারছড়ার জনপ্রতিনিধির কেন্দ্রীক একটি গোষ্ঠী এই সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কালারমারছড়ার আলোচিত দুটি গোষ্ঠীর কাছে সব সময় অসহায় কালারমারছড়ার শান্তিপ্রিয় মানুষ। কমলাবর গোষ্ঠী ও খসরু গোষ্ঠীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, খুন খারাবিসহ চিংড়িঘের দখলের প্রতিযোগিতা করে থাকে দিনের পর দিন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে কমলাবরো গোষ্ঠীর লোকজনের দাপট, বেপরোয়া চিংড়িঘের দখল, লবনের মাঠ দখলসহ নানা অভিযোগ তুলেন সাধারণ মানুষ।

শনিবার (২ নভেম্বর) কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরিফ কালারমারছড়ার আধারঘোনা এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণকারী লোকমান, মোহাম্মদ আলী, ডজন মামলার পলাতক আসামি নুরুছবি, আব্দুল হাকিম বাক্কু, আবু বক্কর বুশ্যা, সরওয়ার, আরিফ, আজিজুল হক, বদি আলম, মান্নান, শাহাজাহান, মমতাজসহ ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসীরা তার গাড়িবহরে যোগ দিয়ে আধারঘোনা প্রবেশ করে। এ সময় জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

স্থানীয় লোকজন তখন দিকবেদিক ছুটাছুটি করলে পরে স্থান ত্যাগ করে ইউপি চেয়ারম্যান। জানা যায়, এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রবিবার (৩ নভেম্বর) দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে খুব নেক্কারজনক ভাবে। উক্ত সংবাদে কালারমারছড়ার সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি শামসুল আলমের নাম জড়িয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে যা কাল্পনিক ঘটনার মতো। ওই সময় শামসুল আলম কালারমারছড়ায়ও ছিলেন না। এদিকে প্রশাসনকে কথা দিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা আবারো বেপরোয়া হওয়ায় সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠৈছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘাত হতে পারে কালারমারছড়ায়-এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ ঘটনায় কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরিফের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে ও তিনি রিচিভ না করার ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।  ওই সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক এমন অভিযোগ করেছে নোনাছড়ির ব্যবসায়ী সমাজ।

প্রশাসন জানিয়েছে, যে সব সন্ত্রাসী ইতোপূর্বে হেফাজতে চলে এসেছে তাদেরকেই শুধু আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হবে। নতুন করে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। যারা জামিনে ইতিপূবে বেরিয়ে আসছে তাদের গতিবিধি লক্ষ করছে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া মাত্র দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানিয়েছেন , চলিত মাসের যে কোন সময়ে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি আত্মসমর্পন অনুষ্ঠনটি হতে যাচ্ছে। ২য় দফা আত্মসমর্পণ হলে মহেশখালীর তথা পুরো জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলে স্থানীয়রা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন