parbattanews

কালারমারছড়ার ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার

মহেশখালীর আলোচিত কালারমারছড়ার আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাচাই-বাছাই এর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন এ দলের কাছে নিজেকে ভালো হিসেবে জাহির করতে এবং একক আধিপত্য ধরে রাখতে ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ লবিং চালিয়েছেন যাচ্ছে গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয় পাওয়া তারেক বিন ওসমান শরীফ।

সম্প্রতি গত (৬ মে) শুক্রবার নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বর্ধিত সভার আয়োজন করে দলটির উপজেলা পর্যায়ের কমিটি। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া বর্ধিত সভা ৪টা পর্যন্ত ঠিকভাবে চললেও সাড়ে ৪টায় গিয়ে বাঁধে হট্টগোল। বর্ধিত সভায় ক্ষমতাসীন এ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়েকজন বক্তব্য দেওয়া শেষ করার পর জেলা তাঁতীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ফজলে আজিম মোহাম্মদ ছিবগাতুল্লাহকে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দিতেই হট্টগোল শুরু করে তারেক বিন ওসমান শরীফের লোকজন। পরে সভাস্থালেই ছিবগাতুহল্লাকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠে। এ সময় উপস্থিত অন্য আ.লীগ নেতারা সভা বর্জন করে চলে যান।

হেনস্তার শিকার ছাত্রলীগ নেতা ছিবগাতুল্লাহ জানান, ‘গত পাঁচ বছরে চেয়ারম্যান বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলো এবং তার ছাত্র রাজনীতি নিয়ে একমাত্র আমিই জানি। তাঁর এ অপকৌশলী রাজনীতি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করি বলেই সে আমাকে মেনে নিতে পারছেনা। বর্ধিত সভায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালাতে চেয়েছিল। আমি কোনো সন্ত্রাসীদের ভয় করিনা। আমার শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো। জনস্বার্থে কথা বলে যাবো।

এদিকে শুক্রবার বর্ধিত সভায় হট্টগোলের বিষয়ে অস্বীকার করে উপজেলা আ.লীগ নেতারা বলছেন, ‘বর্ধিত সভায় সামান্য গন্ডগোল স্বাভাবিক বিষয় এটি।

অন্যদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের টাইমলাইনে আ.লীগের তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, উপজেলা আ.লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী ও জেলা তাঁতীলীগ নেতা ফজলে আজিম মোহাম্মদ ছিবগাতুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে ত্রিমুখী অভিযোগ তুলেছেন । ফলে পুরনো ইঙ্গিতের আশঙ্কা নিয়ে ভোট উৎসব চলছে ইউনিয়নটিতে।

এ ব্যাপারে কালারমারছড়ার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তারেক বীন ওসমান শরীফ বলেন, আমি ৫ বছর যে পরিমাণ উন্নয়ন এলাকায় করেছি তার প্রতিদান হিসাবে আমি দলীয় নৌকা প্রতীক পাবো। দল আমাকে মূল্যায়ন করবে আমার বিশ্বাস। সেজন্য অনেক সন্ত্রাসী ও জামাত বিএনপির মিশন বাস্তবায়নকারী প্রার্থীরা উঠে পড়ে লেগেছে।

Exit mobile version