parbattanews

কী আছে আত্মহত্যাকারী পর্যটকের চিরকুটে?

কক্সবাজার শহরে ‘হোটেল দ্যা আলম’ নামক আবাসিক হোটেলে আত্মহত্যাকারী পর্যটক মো. কাউছার (৪১) আলমের চিরকুট নিয়ে নানা রহস্য রয়ে গেছে। বিভিন্ন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে।

কক্সবাজারে এসে কেন আত্মহত্যা করলেন, এত লম্বা চিরকুট লিখতে গিয়ে মানসিকভাবে স্থির কীভাবে ছিলেন, অভিযুক্ত মেরীনার সাথে তার এতো সম্পর্ক কিসের? কেন তাকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করলেন? প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ থেকে মো. কাউছার আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জয়পুরহাট সদরের হানাইল মাদ্রাসা এলাকার দিঘী পাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

এ সময় তার নিকট থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লিখেছেন-‘আমার মৃত্যুর জন্য মেরীনা দায়ী থাকল।’

ছবি: আত্মহত্যাকারীর চিরকুট

তিনি লিখেন, “আমার ফোনের লক হচ্ছে- ৩৩-৭৭। দুটোতেই মেমোরিকার্ড আছে। তাতে ওই মেয়ের সাথে অনেক ছবি ও কল রেকর্ডিং আছে। তা দেখে-শোনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমার জয়পুরহাট থানাতে পাঠাবেন। এটা আমার অনুরোধ। আমার মৃত্যুর জন্য মোছাঃ মেরীনা দায়ী থাকল। আমি তাকে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেলাম। আপনারা তার সুব্যবস্থা করবেন। এটা আমার জিডি অথবা অভিযোগ, যেটাই করা যায় দয়া করে তাই করবেন। আমি রহমানকে হুমকি দিই নাই। বরং সে আমাকে হুমকি দিয়েছে। ১০ মিনিটে আমাকে গুম করতে পারে।”

চিরকুটের শেষভাবে মো. কাউছার আলম লিখেন, “মেরীনা একটা বাজে মেয়ে। আমার স্বাক্ষীগণের নাম উল্লেখ করে গেলাম। তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করবেন।”

তার উল্লেখ করা সাক্ষী হলেন, উজ্জল, (উজ্জল বস্ত্রালয়), আকাশ (মন্ডলপাড়া), হাসনা হেনা (শান্তিনগর), কবির (ভাতিজা), তামজিদ (আদর্শপাড়া)।

চিরকুট মতে অভিযুক্ত মোছা. মেরীনা খাতুন নওগাঁ ধামুইর হাট শাহাপুরের মমতাজ উদ্দীনের মেয়ে।

এ বিষয়ে বুধবার (৩ আগস্ট) বিকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, মো. কাউছার আলম নামক পর্যটক বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ধারণা। আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনো উদঘাটন করা যায়নি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলাপ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঘটনায় আইনগত কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‌‘সুইসাইড নোটসহ জব্দকৃত আলামতগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পঠানো হবে। এখনো পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কারো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।

হোটেল দ্যা আলম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কক্সবাজার বেড়াতে আসলে প্রায় সময় তাদের হোটেলে থাকত কাউছার। মঙ্গলবারও কক্সবাজার আসেন। দুপুরে হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ ওঠেন। কেন আত্মহত্যার করলেন, কারো জানা নেই।

Exit mobile version