কুতুবদিয়ায় ডিজিটাল পোস্ট-ই সেন্টারে বেহাল দশা


কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডাক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিজিটাল পোস্ট ই সেন্টারে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে দুই বছর। ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণের কথা থাকলেও দুই বছর পরেও প্রশিক্ষণার্থীদের পরীক্ষাই নেয়া হয়নি।
ফলে অন্তত উভয় বিভাগে অর্ধশত শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে। গত এক বছর ধরে সেখানে শিক্ষার্থীও ভর্তি করা হচ্ছে না। উধাও হয়ে গেছে উদ্যোক্তা। অগ্রিম ৫ হাজার টাকা ৬ মাস মেয়াদের ডিপ্লোমা ও ৩ হাজার টাকা ৩ মাস মেয়াদের সফটওয়ার এপ্লিকেশন কোর্সের জন্য নেয়া হয় কোর্স ফি।
কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাসফিয়া আফরিন জানান, এসএসসি পরীক্ষার পর অগ্রিম ৩ হাজার টাকা দিয়ে ৩ মাসের কোর্সে ভর্তি হয়েছিলান। অনিয়মিত ক্লাশ নিয়ে ৩ মাস কোর্স শেষে আর পরীক্ষা নেয়া হয়নি। তার মত প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। সবাই একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তারা প্রশিক্ষণ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।
তানজিনা আক্তার নামে একজন উদ্যোক্তা কুতুবদিয়া ডিজিটাল পোস্ট ই সেন্টার প্রশিক্ষণ চালু করেন। যদিও এটি তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন টিটু মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে পরিচালনা করতেন। কিছুদিন উপজেলা ডাকঘরে, পরে কিছুদিন তাদের বাসায় শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেন।
একাধিক ব্যাচের পরীক্ষা নিয়ে তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তবে পরের দু‘টি ব্যাচের পরীক্ষা না নিয়েই তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন টিটু।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন টিটু জানান, আমার কাজ প্রশিক্ষণ দেয়া। ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। পরের ব্যাচের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েও পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেননি। গত ৫ আগস্টের পর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী অঞ্চলের ডাক বিভাগ উত্তীর্ণদের মাঝে সনদ বিতরণ করে থাকে।
কুতুবদিয়া উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মো: জালাল উদ্দিন বলেন, উদ্যেক্তার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষা বাদ রয়েছে অর্ধ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থীর। তবে এসব শিক্ষার্থীদের একটি চাহিদা তালিকা চেয়েছেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। হয়তো পরীক্ষা গ্রহণ করবে খুব শীঘ্রই।