কুতুবদিয়ায় প্রধান সড়কে ময়লার ভাগাড়
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার প্রধান আজম সড়কটি আবর্জনার দখলে চলে যাচ্ছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র উপজেলা গেইটেই সড়কের দু’পাশের ব্যবসায়ীদের ফেলা আবর্জনার স্তুপ সড়ক জুড়ে। দিন দিন দুর্গন্ধ ছড়ালেও কে দেখে পরিবেশ। ব্যস্ত সড়কটি যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে ময়লার স্তুপ। ক্রমেই সড়কের এক অংশ ভরে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালের সামান্য উত্তর পার্শ্বে তারা ভবনের সামনে। প্রথমে দু‘একজনে ময়লা ফেলা শুরু করে। আশপাশের বিভিন্ন দোকানের ময়লা একই জায়গায় ফেলতে ফেলতে সড়কেই চলে আসছে।
উপজেলা গেইট থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে অন্তত দেড়শত দোকানপাট রয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন নেই। ফলে যডত্রতত্র ফেলা হয় আবর্জনা। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ নেই। উপজেলা পরিষদেরও একই অবস্থা। যেকারণে ব্যবসায়িরা নিজ উদ্যোগে সড়কের পাশেই ময়লা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। ৪ বছর আগে সাবেক বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দীন ছোটন লামার বাজার থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত দু‘টো কমিটির মাধ্যমে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে চাদা উঠিয়ে বর্জ্য অপসারণে লেবার নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু অল্প দিনেই ব্যবসায়িদের অনৈক্যে সেটাও ভেস্তে যায়।
উপজেলা গেইটের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মো. ইছহাক সওদাগর জানান, ব্যস্ত সড়কের পাশেই আবর্জনার স্তুপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাতাসে মিশে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রকল্প কার্যালয়ের অধীনে ১৮ দিনের একটি প্রওকল্প চলমান রয়েছে। সেটির একটা অংশ হিসেবে উপজেলা গেইটের আবর্জনা অপসারণে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীকে অবহিত করেছেন। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে সামান্য কাজ করে চলে গেছে। ফলে আগের অবস্থায় সড়কে ফিরে আসছে ময়লাগুলো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের প্রকৌশলী মুস্তাকিন বিল্লাহ বলেন, প্রকল্পটি মূলত: বড়ঘোপ সদরে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি স্থাপনা বিশেষ করে খালটি বিভিন্ন আবর্জনা-ময়লায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এটি পরিস্কারসহ পার্শ্ববর্তী সংশ্লিষ্ট এধরণের কাজ করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে সড়কে আবর্জনার স্তুপের বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানালে কয়েকজন শ্রমিক দেয়া হয়েছিল। তবে শ্রমিকরা সঠিক ভাবে কাজ শেষ করতে পারেনি বলে তিনি অবহিত হয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে কিছু শ্রমিক দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।