কুতুবদিয়া হাসপাতা‌লে এক্স-‌রে বন্ধ এক বছর যাবত

fec-image

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহুল কাঙ্খিত এক্স-রে বিভাগ চালু হবার ৩ মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে গেছে। গত ১ বছর ধরে এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত দ্বীপের সাধারণ রোগীরা। গত বছর জুন মাসে পরীক্ষামূলক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে রোগীদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বৈদ্যুতিক ঝুঁকিতে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পরিচালনা দূরহ ব্যাপার। সাড়ে ৩ ‘শ টাকার একটা এক্স-রে করাতে বাহিরে গিয়ে খরচ পরে এক হাজার টাকা।

উপজেলায় একাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও এক্স-রে সুবিধা হয়নি। ফলে চিকিৎসা সেবায় রোগীদের ভোগান্তির সীমা কম নয়।

৫০ শয্যার হাসপাতালে তুলনামূলক অন্যান্য সেবা দেয়ার ফলে এটি জেলায় প্রথম স্থানে উন্নীত এখন। বেড়েছে রোগী। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪‘শ রোগী হচ্ছে বর্হিবিভাগে। ল্যাবরেটরীতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ দেয়ায় পরীক্ষার রোগীও বেড়েছে কয়েকগুণ। গতকাল শনিবার হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায় আলট্রাসনোগ্রাফী ও ল্যাবরেটরী কক্ষের সামনে লম্বা লাইন। পরীক্ষা করাতে আসা রোগী সেনুয়ারা বলেন, ডাক্তার দেখাইছি,পরীক্ষা দিছে। তবে সিরিয়াল পেতে সময় লাগলেও কম খরচে পরীক্ষা করার সুযোগ পাচ্ছি-এটাই সুবিধা আমাদের।

গতবছর (২০২৩) জুনে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে একমাত্র সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বাড়ানো হয়। সরকারিভাবে রেডিওগ্রাফার দেয়া না হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে একজন এক্স-রে টেকনিশিয়ান দিয়ে সেবাটি চালু করেছিলেন। তবে নানা প্রতিক’লতার কারণে ৩ মাস পরেই টেকনিশিয়ান চলে যাওয়ায় এক্স-রে সেবাটি বন্ধ হয়ে যায়। সামান্য আঙ্গুলের ভাঙা নিয়েও যেতে হয় পেকুয়া কিংবা চকরিয়ায়। যা খ্জানার চেয়ে বাজনা বেশি।

অপরদিকে বেশ কয়েকটি বিভাগে বেসরকারি সংস্থা থেকে দেয়া হাসপাতালে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) দেয়া হলেও গত দু‘মাস আগে প্রকল্প বন্ধের কারণে ডাক্তার,টেকনোলজিস্টসহ কর্মচারিদের বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়। এগুলো পূন:রায় দেয়া না হলে সেবায় ফের ধ্বস নামতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, জেলায় এ হাসপাতালটি সেবার মানে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৪‘শ এর উপরে রোগী হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রে বিভাগে রেডিওগ্রাফার না থাকায় সেবাটি এখন বন্ধ। বেশ কয়েকবার লিখেছেন জরুরি ভিত্তিতে একজন রেডিওগ্রাফার দেয়ার জন্য। কিন্তু দেয়া হচ্ছেনা। বেসরকারি সংস্থার প্রকল্পের অধিনে কাজ করা অনেক স্টাফ চলে গেছে। এটিও একটা নতুন সংকট বলে তিনি মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন