parbattanews

কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে কাঁচা ঘরবাড়ি গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি

Mora -2 copy

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মঙ্গলবার ঘুর্ণিঝড় মোর’র আঘাতে পানি না  উঠলেও বাতাসে  কাঁচা ঘরবাড়ি গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণে তাবালের চর ও উত্তর প্রান্তে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে কিছু জায়গায় পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার থেকেই মহা বিপদ সংকেতের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালায় স্থানীয় প্রশাসন। সন্ধ্যার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার ১২১টি সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ৬০ হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নেয় বলে উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নেয় প্রায় ৫’শ মানুষ  হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায় প্রচণ্ড। আঘাত হয় বেড়িবাঁধের বাইরে ও ভেতরে কাঁচা ঘর-বাড়ি, গাছ-পালার উপর। সাইক্লোন শেল্টারে মানুষদের আনা-নেয়ার সময় আলী আকবর ডেইল আব্দুল হাদী সিকদার পাড়ায় জীপ চাপায় আসমা সুলতানা নামের ৮ বছরের একটি শিশু মারা যায়। সে ওই পাড়ার আইয়ুব আলীর কন্যা। এ ছাড়া হাসপাতালে ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে ৬জন প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত ডা. মো. জায়নুল আবেদীন জানান।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার পর থেকে দমকা হাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গাছ-পালার ব্যাপক ভাঙন চলে। উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আসম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের সতর্কতা থাকায় বাসিন্দারা অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়। পানি না উঠলেরও ঝড়ে কাঁচা ঘর-বাড়ি, গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। লেমশীখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, তার ওয়ার্ডের অনেক বাড়িতেই কাঁচা ঘর-বাড়ি সহ গাছপালার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোরা’র ফলে বেশ কয়েকটি সড়কের পাশের গাছপালা উপড়ে পড়ায় সড়কে ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানান। ঘুর্ণিঝড় মোরার আঘাতে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রাথমিক তথ্য মতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার পরিবার’র প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। পরিবারগুলোর অধিকাংশই আংশিক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোরা আসার সতর্ক সংকেতের পর থেকেই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালায় উপজেলা প্রশাসন। সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম, পুলিশ, সেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করে। প্রবল ঝড়ো হাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজারটি পরিবার ও ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রেরনের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তথ্য পাঠানো হয়েছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নিরূপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version