কুতুবদিয়ায় জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট

fec-image

কুতুবদিয়ায় আসন্ন কুরবানির পশুর হাট শেষ মুহূর্তে জমে উঠতে শুরু করেছে। হাটে কিছু ছোট খামারি ছাড়া অধিকাংশ গরু চাষীদের নিজ বাড়িতে মোটাতাজা করা। তবে এসব হাটে বড় সাইজের গরু দেখা মেলা দায়।

কুতুবদিয়া উপজেলায় মাত্র দু’টি পশুর হাট। একটি বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকত অন্যটি উত্তর জোনের ধুরুংবাজার। এই দুটি হাট সপ্তাহে দু’টি বসলেও গত দু’ই হাটে ওঠেনি কোন বড় সাইজের গরু। তবে বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতে বসা পশুরহাটে বড়ঘোপ মগডেইলের দেলোয়ার হোছাইনের ষাঁড়টি ছিল সব চেয়ে বড়। এর দাম মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার। ক্রেতারা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম দিতে চাই ষাঁড়টির।

অপর দিকে কুরবানিকে সামনে রেখে বাজার গরম করেছে খাসি ছাগল। প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ছাগল উঠেছে বাজারে। তবে তুলনামূলক বিক্রি নেই বলে জানান হাট ইজারাদার। প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক বাজার পশু বিক্রেতারা বাজার যাচাইয়ের জন্য হাটে তুলে থাকেন। অধিকাংশ বড় গরু বিক্রি হয় পাড়ায় বা গ্রামে। ফলে হাটে বড় পশু মেলা দায়।

ধুরুং বাজারে ক্রেতা সতরুদ্দীন হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক মো. খোরশেদ আলম জানান, বড় গরুর দাম তুলনামূলক কম। তবে মধ্যবিত্তের জন্য ছোট সাইজের পশুর দাম বেশি। বড় সাইজের খাসি ছাগলের দাম ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

একই বাজারের উজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, হাটে প্রচুর পরিমাণ ছাগল-গরু ,মহিষ উঠছে। গত দুই হাটে বিক্রি কম ছিল। মাত্র ৩০-৩৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে মঙ্গলবার ও শনিবার দু’টি হাট রয়েছে। ওই দু’টি অধিক গরু-ছাগল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বাহাদুর বলেন, কুরবানি পশুর হাটের জন্য অন্তত ৭ হাজার গরু রয়েছে। সমপরিমাণ কুরবানি উপযুক্ত ছাগলও রয়েছে। অধিকাংশ বড় পশু বিক্রেতারা অধিক লাভের আশায় অন্যত্র নিয়ে যায়। যে কারণে বড় পশুগুলো স্থানীয় হাটে কম মেলে। দু’টি হাটেই ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া, কুরবানি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন