কুতুবদিয়ায় নির্বাচন অফিসের সার্ভার বিকল ৩ মাস ধরে

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের সার্ভার মেশিনটি বিকল ৩ মাস যাবত। ফলে নতুন ভোটার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আছে। ভোগান্তি বেড়েছে সেবা প্রার্থীদের। এমনিতেই ভোটার হতে নানা কাগজ পত্র সংগ্রহ করতেই হিমশিম খেতে হয়। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দ্বীপের নাগরিকদের বেশ সংখ্যক মানুষ ভোটার হতে পারেনি। রোহিঙ্গা সংকটে প্রভাব পড়েছে নতুন ভোটার হতেও। “ মরার উপর খড়ার ঘা” হয়ে বাড়তি সময় আর ভোগান্তি বেড়েছে সার্ভার মেশিনটি বিকল হওয়ায়।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সার্ভার মেশিনটি বিকল হওয়ায় তা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছিল। প্রায় আড়াই মাস পর তা সচল বলে নিয়ে আসা হয় দু‘সপ্তাহ আগে। তবে আনার পর সেটি কাজ হচ্ছেনা। সেবা প্রার্থীরা অনলাইনে কাগজ পত্র প্রেরণের তথ্য জানতে প্রতিদিন ধর্ণা দিচ্ছে নির্বাচন অফিসে।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নেন ফতেহআলী সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মন্জুর আলম নতুন ভোটার হতে কাগজপত্র জমা দিয়েছে ৪ মাস আগে। ছবিও তুলেছে ৩ মাস হলো। তার পুত্র কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আবু হানিফ জানান, পিতার আইডি কার্ড করতে না পাড়ায় কলেজের ইউনিক আইডি খুলতে পারেনি। জানুয়ারিতে দ্বাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে সে পরীক্ষাও দিতে পারবেনা। এতো জরুরী বিধায় সে উপজেলা নির্বাচন অফিসে অনেকবার ধর্ণা দিয়েছে। নির্বাচন অফিসার জানুয়ারিতে কনফার্ম আইডি কার্ড হবে বলে নিশ্চয়তা দিলেও সার্ভার মেশিনটি বিকল থাকায় সেটিও সম্ভব হয়নি বলে জানায়।
এমন নতুন ভোটার হতে আবেদন জমা রয়েছে অনেক। একসময় ইউপি নির্বাচন, আবার অফিসারের দায়িত্ব ছিল অন্য উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে সর্বশেষ সার্ভার মেশিন বিকলে নাকাল সেবা প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল ইসলাম সিকদার জানান, নতুন ভোটার ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। সার্ভার মেশিনটি বিকল হওয়ায় ব্যহত হচ্ছে। মেশিনটি ঢাকা থেকে সচল করে আনা হলেও সেটি আনার পর কাজ হয়নি। গত মঙ্গলবার আবারও মেশিনটি ঢাকায় প্রেরণের কথা জানান তিনি।