কুতুবদিয়ায় নির্মাণ হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

fec-image

কুতুবদিয়ায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে নির্মাণ হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। বড়ঘোপ মগডেইল এলাকার পুরনো মাঠেই এটি নির্মাণে ইতোমধ্যে বোরিং কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আগামী নভেম্বরেই এটির মূল কাজ শুরু হবে। সেখানে বেসরকারি সংস্থার পরিত্যক্ত একটি সাইক্লোন শেল্টার ভবন রয়েছে। এটি ভেঙে ফেলতে নিলামে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলায় ভাল স্টেডিয়াম না থাকায় খেলাধুলার সুযোগ বা আয়োজন সম্ভব হয়না। যে কারণে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে ক্রীড়া ক্ষেত্রে। যৎসামান্য মৌসুমি ফুটবলের আয়োজন হয় সমুদ্র চরে। এটাও নির্ভর করে জোয়ার-ভাটার ওপর। ক্রীড়া চর্চার সুযোগ না মেলায় ছাত্র-যুবকেরা ধাবিত হচ্ছে মাদকসহ নানা অপকর্মে। যে কারণে একটি স্টেডিয়াম অতি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

কুতুবদিয়া ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার বিমল কান্তি শীল জানান, উপজেলায় তেমন খেলার উপযোগী ষ্টেডিয়াম না থাকায় কয়েক বছর আগে থেকেই প্রক্রিয়া চলছিল মগডেইলে স্টেডিয়াম নির্মাণের। ৩ একর জুড়ে ৩০০ ফুট গ্যালারি, দোতলা ভবন ও চারিদিকে বাউন্ডারিসহ কাজের জন্য জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে সয়েল টেস্টিং বিভাগের কাজ চলছে।

এছাড়া আশ-পাশের অন্তত ১২টি বসতভিটা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সামনের মাসেই মূল কাজ শুরুর কথা জানান তিনি।

জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান সয়েল এন্ড ফাউন্ডেশনের ফোরম্যান মো. মাঈন উদ্দিন জানান, দু‘দিনের মধ্যেই সয়েল টেস্ট প্রক্রিয়া শেষ হবে। চলমান টেস্টে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য পুরোটাই উপযোগী স্থান এটি। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই আগামী মাসেই পাইলিং কাজ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

কক্সবাজার জেলা ফুটবল রেফারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘এমনিতেই কুতুবদিয়া ক্রীড়া ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে অজ্ঞাত কারণে। জনপ্রতিনিধি কিংবা ক্রীড়া সংস্থা, সংগঠনগুলোর ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল ম্যাচ আয়োজনে অনিহা থাকায় ভালমানের খেলোয়াড় গড়ে উঠছেনা। অপর দিকে শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়ামোদিরা খেলার জন্য মাঠ না পাওয়ায় ধাবিত হচ্ছে মাদকের দিকে। এদের ফিরিয়ে আনতে ক্রীড়াক্ষেত্র সচলে মগইেলে নির্মানাধীন স্টেডিয়াম বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া, শেখ রাসেল, স্টেডিয়াম
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন