parbattanews

কুতুবদিয়ায় পানি ডুবিতে ১২ মাসে অর্ধশতাধিক শিশুর মৃত্যু

কুতুবদিয়ায় এক বছরেই অর্ধশত শিশু মারা গেছে পানি ডুবির ঘটনায়। আর এসব শিশুর বয়স ১২ মাস থেকে ৬ বছরের মধ্যে। পুকুর কিংবা খাল-বিলে পড়ে শুধু গত জুন মাসেই উপজেলায় মারা গেছে ৮ শিশু।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি জুলাইয়ের ২, ৩ তারিখে ২ জন, জুনে ৮ জন, মে’তে ২ জন, এপ্রিলে ৪ জন, মার্চে ২ জন, ফেব্রয়ারিতে ৩ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

এ ছাড়া গত বছর জুলাইতে ১ জন, আগস্টে ৩ জন, সেপ্টেম্বরে ৫ জন, অক্টোবরে ৮ জন শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে অক্টোবরের প্রথম দিনই মারা যায় ৩ জন শিশু। নভেম্বরে ৫ জন ও ডিসেম্বরে ২ শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে।এসব শিশু শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয় স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়েও থাকে। ফলে চেম্বারে আনা শিশুগুলোর হিসাব অগোচরেই থেকে যায় অনেক সময়।

প্রতিনিয়ত পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের বাসিন্দা তানজেলুল হক তালুকদার, ধুরুং বাজারের হোমিও চিকিৎসক সায়েদুল মনির প্রমুখ বলেন, অভিভাবকদের ঔদাসিন্যে তাদের সন্তানরা অকালে ঝরে যাচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও পুকুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা উচিত বলে তারা মনে করেন।

হাসপাতালের ইপিআই টেকনিশিয়ান ছৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, প্রতিটি পরিবারে অপরিকল্পিত পুকুর খনন, পুকুরগুলোতে ঘেরা বেড়া না থাকা সর্বোপরি অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতাই পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এসব প্রতিরোধে সরকআরি-বেসরকারি কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে দিন দিন পানিতে ডোবা মৃত্যু বেড়েই চলেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, উপজেলায় অত্যধিকহারে পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সরকারিভাবে এটি প্রতিরোধে কোন প্রকল্প নেই। তবে বিষয়টি উদ্বেগজনক হওয়ায় সমন্বয় সভায় এ ব্যাপারে তিনি অবহিত এবং এটি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে তারা একটি ঐক্যমত গঠনে কাজ শুরু করেছেন। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও কাজ করবেন বলে জানান।

Exit mobile version