কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কুতুবদিয়ায় বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা করায় মোবাইল কোর্টে এক আইনজীবীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে বরের পিতা, কনের মাতা-পিতাকে প্রতিজনকে আদালত জরিমানা করেছেন ১৫ হাজার টাকা করে।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায় এ জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে সবাইকে ১৫ দিনের জেল প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার লেমশীখালী বশির উল্লাহ সিকদার পাড়ার নুরুল আবছারের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী আসমাউল হুসনা(১২)কে গত প্রায় ৩ মাস আগে একই ইউনিয়নের আনুমিয়াজির পাড়ার মোস্তাক আহমদের পুত্র হেলাল উদ্দিন এর সাথে বিয়ে ঠিক করে। এসময় তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মনোয়ারা বেগম খবর পেয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। একই সাথে তিনি কনের মা-বাবার কাছ থেকে মুছলেকা নেন।
পরবর্তীতে কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গোপনে ভুয়া জন্ম তারিখ সৃষ্টি করে অন্যত্র কাবিন করান। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বর পক্ষ কনেকে নিতে এলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় খবর পেয়ে পুলিশ সহ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে নিয়ে আসেন। রাতেই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে সহযোগিতা করায় আইনজীবী মো. ফিরোজ আহমদকে ২০ হাজার টাকা, বরের পিতা মোস্তাক আহমদকে ১৫ হাজার, কনের পিতা নুরুল আবছারকে ১৫ হাজার, কনের মা রোকসানা বেগমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে সবাইকে ১৫ দিনের সাজাও প্রদান করেন তিনি। জরিমানা প্রদানের আগ পর্যন্ত সবাইকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয় বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান।