কুতুবদিয়ায় বেড়েছে লবণের দাম, কমেছে উৎপাদন

fec-image

কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদন মৌসুমে দফায় দফায় বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশায় ব্যহত হয়েছে লবণ চাষ। ফলে এবারও উৎপদিত লবণে খরচ তুলতে পারবেনা লবণ চাষিরা।

স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন সূত্র মতে চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে উপজেলায় সাড়ে ৫ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করছে চাষিরা। নভেম্বর থেকে মাঠ তৈরি শুরু করে প্রায় ৫ মাস চলে লবণ উৎপাদন। জুনের আগেই বর্ষা শুরু হয়ে থাকে। যে কারণে লবণ চাষ সমাপ্ত হয়ে যায়।

লেমশীখালী হাজারিয়া পাড়ার লবণ চাষি সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ বলেন, লবণ উৎপাদনে একাধিকবার বৃষ্টি হয়েছে এবার। এছাড়া ঘনকুয়াশাও ছিল দু‘বার। মাঠে মিঠা পানির দরুণ পিছিয়ে যায় উৎপাদন। তবে উৎপাদিত লবণের দাম বেড়েছে এবার। গত কয়েক বছর ধরে চাষিরা লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছেনা। তবে এবার এই খড়া কাটছে কিছটা হলেও। বর্তমানে প্রতিমণ লবণ কেনা-বেচাঁয় চাষিরা পাচ্ছে ৩১৫ টাকা।

একই মাঠের লবণ চাষি আবুল কাশেম, সাঁচি মিয়া জানান, কয়েকবার বৃষ্টিতে অন্তত প্রায় দু‘সপ্তাহ লবণ উৎপাদন পিছিয়ে গেছে। এতে প্রায় প্রতি একরে ৭০ মণ লবণ উৎপাদন কম হয়েছে। উৎপাদন ঘাটতির ফলেই লবণের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় মৌসুমে বেড়েছে বলে তারা মনে করেন। তবে লবণ চাষে খরচ বৃদ্ধির ফলে দাম আরো বাড়াতে হবে বলে জানান।

উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে চাঁদের ঘোনা, জুম্মাপাড়া, উত্তর বাঁকখালী লবণ মাঠের বিশিষ্ট লবণ চাষি সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, গত সপ্তাহে উৎপাদিত লবন ট্রলার মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৩৫০ টাকা প্রতিমণ। পরিবহণ, লেবার ইত্যাদি খরচ নেয়া হয় ৫০ টাকা। তারা মাঠে পান ৩০০ টাকা। কয়েকবার প্রচুর বৃষ্টির ফলে লবণ উৎপাদন চরম ব্যাহত হয়। লবণ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে লবণ ব্যবসায়িরা আগাম আভাস দিয়েছে- লবণের দাম সামনে কমে যাবে। যে কারণে তার মাঠে জমা থাকা প্রায় দুই হাজার মণ লবণ আপাতত: বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বলেও তিনি জানান।

কৈয়ারবিলের আনু হাজির পাড়ার বিশিস্ট লবণ চাষি সাঁচি মিয়া, চেয়ারম্যান রোড পাড়ার আনছারুল করিম জানান, কয়েক বছর পর লবনের দাম কিছুটা বেড়েছে। তার ৪ বছরের জমাকৃত লবণ দাম বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রতিমণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। খরচ বাদে চাষিরা পাচ্ছে ৩২০ টাকা। বাড়তি দাম উৎপাদন মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে চাষিরা এবার লাভবান হতে পারে বলে তারা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন