parbattanews

কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছে চাষিরা

২০১৯-২০ অর্থ বছরে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে কুতুবদিয়ার লবণ চাষিরা। সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মাঠ তৈরির কাজ শুরু করলেও এবার আবহাওয়া পরিবর্তনে অক্টোবরের শেষে চাষিরা মাঠ তৈরির কাজ শুরু করে। তবে শুরুতে মাঠ তৈরিতে হোচঁট খেয়েছে চাষিরা।

সদ্য আর্বিভুত ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে মিঠা পানিতে ডুবে যায় মাটি। পিছিয়ে যায় মাঠ তৈরির কাজ। স্থানীয় বিসিক ও বিভিন্ন তথ্য মতে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৬ হাজার ৯৮০ একর জমিতে লবণ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া লেমশীখালীতে লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিসিক) রয়েছে ৭৯ একর লবন মাঠ। গত দু‘বছর ধরে লবণের দাম পাচ্ছেনা চাষিরা।

কিন্তু জমির লাগিয়ত মূল্য বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অধিকাংশ লবণ চাষের জমি লবন ব্যবসায়িদের দখলে। উপজেলায় অন্তত ২০০ লবণ ব্যবসায়ি রয়েছেন। যারা চাষিদের লবণ বেঁচেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। তারা উচ্চ দামে চাষিদের কাছে উৎপাদিত লবণ দেবে এমন চুক্তির মাধ্যমে লাগিয়ত দিয়ে থাকে।

প্রতি একর লবণ জমি একসনা ৮০/৮৫ হাজার টাকা। একই সাথে বেড়েছে মাঠে ৬ মাসের জন্য লবণ শ্রমিক ৮০ থেকে ১১০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভাল হলে প্রতি একরে ৭০০ মণ সাদা লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে।

কৈয়ারবিল সেন্টার পাড়ার লবণ চাষি অনন্ত নাথ, মধ্যম কৈয়ারবিলের মন্জুর আলম জানান, লবণের দাম নেই। মাঠে পুরাতন প্রতিমণ লবণ ১৬০ টাকা। দাম বাড়বে সেই আশায় চাষ করা শুরু করেছি। এ ছাড়া বিদেশ থেকে লবন আমদানির গুজবেও লবণ ব্যবসায়িরা মাঠ পর্যায়ে দাম কমিয়ে দেন। কষ্ট করে উৎপাদিত লবণ ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে তারা মনে করেন।

উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের লবণ ব্যবসায়ি সামসুল আলম, ব্যবসায়ি মো. হোছাইন বলেন, মাঠে পুরাতন লবণের দাম প্রতিমণ ১৬০-১৭০ টাকা। এখনো মাঠে পড়ে আছে লক্ষাধিক মন লবণ। মন্দা যাচ্ছে মওসুম। নতুন লবণ উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নেমেছে। নতুন লবণ ওঠার আগে দাম না বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত শুধু চাষিরা হবেনা, সেই সাথে লবণ ব্যবসায়িরাও আর্থিক লোকসানে পড়বে।

স্থানীয় বিসিকের সহকারি পরিদর্শক হাফেজ জাকের হোছাইন বলেন, নতুন অর্থ বছরে লবণ উৎপাদনে ব্যক্তিগত মাঠে চাষিরা মাঠ তৈরির কাজ শুরু করেছে। তাদের বিসিক মাঠে ৭৯ একর লবণ জমি প্রান্তিক চাষিদের মাঝে একসনা বরাদ্ধ দেয়ার প্রক্রিয়ায় ফরম বিতরণ চলছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version