parbattanews

কুতুবদিয়ায় ৩ সপ্তাহ যাবত অবরুদ্ধ ৪টি পরিবার

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৩ সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে ৪টি পরিবার। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সব পথ প্রতিবেশীরা বন্ধ করে দেওয়ায় স্কুল-মাদরাসায় যেতে পারছেনা অবরুদ্ধ পরিবারের ৪ শিক্ষার্থীর।

উপজেলা সদর বড়ঘোপ রোমাই পাড়ায় এই অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গিয়েও এই অবরুদ্ধের সুরাহা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিন গিয়ে দেয়া যায়, ৯০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ ওই পাড়ায় ৫ দশক ধরে বসবাস করে আসছেন। স্ত্রী-সন্তানসহ এখন তাদের ৪ পরিবারে ২০ জন সদস্য রয়েছেন। তার বাড়ির পশ্চিমে নুরুল আমিন, দক্ষিণে সাইফুল, মনির, উত্তরে আব্দুল বাসেত, নুরুল কাদের ও পূর্ব পাশে সোলেমানের বসবাস।

বৃদ্ধের পুত্র হাফেজ মনির হোসেন, সাবেক ইউপি মেম্বার মো. হোছাইন বাদশা জানান, দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর দক্ষিণ পাশে বের হবার রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রায় দু’বছর আগে। পূর্বপাশে রাস্তার জন্য সাড়ে ৪ কড়া জমি কিনেছে ২০১৯ সালে। এক মাসের সময় নিলেও ঘর সরিয়ে নেয়নি প্রতিবেশী সোলায়মান। পশ্চিমে কয়েক পরিবারের শত বছরের পারিবারিক রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে অন্তত দু’বছর ধরে। হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে বাড়ির পেছনে নুরুল আমিন ও তার ভাইয়েরা রাতারাতি দেয়াল তুলে দেয় ৩ সপ্তাহ আগে।

দেয়াল তোলার কারণে বাড়ির চারদিকে বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৪টি পরিবার। ওই পরিবারের ৮ম শ্রেণির তবারেকা, ৭ম শ্রেণির রহিমা আক্তার, ২য় শ্রেণির সুমি, শিশু শ্রেণির আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ ২২ দিন যাবত। সবাই অবরুদ্ধ থাকায় পার্শবর্তী এক পরিবার দেয়ালের উপর দিয়ে খাবার সরবরাহ করায় দেয়ালের উপরে নুরুল আমিনের পরিবার কাঁচভাঙা বসিয়ে দেয় বলে এলাকাবাসী জানায়।

এমন অমানবিক বিষয়টি জানাজানি হলে চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এক সপ্তাহ আগে। কিন্তু আশ্বাস দেয়া হলেও কাজ হয়নি।

স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মালেক জানান, তিনি কয়েকবার সেখানে গেছেন, অবরুদ্ধ বাড়িটির সামনে কেনা জায়গা দখলমুক্ত হয়নি। হঠাৎ পেছনের দেয়াল তৈরির ফলে চর্তুদিকে অবরুদ্ধ এই ৪টি পরিবার। বিষয়টি সুরাহা করতেও পারেননি তিনি।

বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, নির্বাহী অফিসারের সাথে অবরুদ্ধ বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সব রাস্তা বন্ধ হওয়ায় তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। উপজেলা চেয়ারম্যান এলে বিষয়টির শীঘ্রই পদক্ষেপ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

Exit mobile version