parbattanews

কুতুবদিয়ায় ৪ হাজার ছাড়ালো ভ্যাকসিন গ্রহণ

কুতুবদিয়ায় দু‘মাসে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিয়েছে ৪ হাজার ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ডোজের প্রথম দিন নিয়েছে ৬০ জনে। বুধবার একজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

সর্বশেষ উপজেলায় একজন পজিটিভ ছিল ১৭ নভেম্বর। দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর সেলিনা আক্তার নামের একজনের করোনা টেস্ট পজিটিভ এসেছে বুধবার। উত্তর ধুরুং এলাকায় নাসিমা আক্তার নামে একজন নারীর প্রথম করোনা পজিটিভ গত বছর মার্চের ১৫ তারিখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান ছৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ মাসে মোট ভ্যাকসিন নিয়েছে ৪০০১ জন। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ৬০ জন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার কেউ নমূনা দেয়নি বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানান, এ পর্যন্ত নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১০ জনের। বুধবার পর্যন্ত আক্তান্তের সংখ্যা ৯৫ জন। প্রচারণা ও সচেতনামূলক ব্যবস্থার পরও আশানুরূপ সারা মিলছেনা ভ্যাকসিন গ্রহণে। ভ্যাকসিন গ্রহণে ও স্বাস্থ্য বিধি না মানলে দ্বীপবাসির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

এ দিকে নতুন করে করোনা বিস্তার হওয়ায় লকডাউন দেয়া হলেও কার্যকর স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে বাহিরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। মাস্ক সাথে থাকলেও যথাযথ ব্যবহার করছেনা মানুষ। বড়ঘোপ ও ধুরুং বাজারে মানুষের অবাধ বিচরণ পরিলক্ষিত হয়-অথচ তাদের অধিকাংশ ব্যক্তির মুখে মাস্ক নেই। যাদের আছে তারা নাক মুখ খোলাই রাখছে। উপজেলা প্রশাসন করোনা প্রতিরোধে প্রচারণা, মোবাইল কোর্ট, নিয়মিত পুলিশী টহল ইত্যাদি চলমান রাখলেও সাধারণ মানুষ অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ।

থানার ওসি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৫ পর উপজেলায় ফের করোনা আক্রান্ত রোগী মিলেছে। ছড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিদিনই পুলিশ বাজারসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারনা চালাচ্ছে মাস্ক ব্যবহারে। জনগণ সচেতন না হলে ধীরে ধীরে করোনা বিস্তার লাভ করবে দ্বীপে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করতে আহ্বান জানান তিনি।

Exit mobile version