কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : আড়াই বছরেও শুরু হয়নি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ

fec-image

কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের স্থানে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ ঝুলে আছে আড়াই বছর ধরে। একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ শেষ সময় পার হয়েছে গত ৬ মাস আগে। জরাজীর্ণ ভবন ভাঙার জটিলতায় কার্যাদেশের শুরু থেকে আড়াই বছর পরেও কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে একাডেমিক ভবন সংকটসহ ছাত্রীদের ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানেও।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৫ বছরের পুরনো জরাজীর্ণ একাডেমিক ভবন ভেঙে নতুন পৌনে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা ভবনবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ঢাকার তোপখানা রোডের মেসার্স প্রমিনেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটির টেন্ডার পায়। নির্বাহী প্রকৌশলী কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভবন নির্মাণে ৭২০ দিনের (২৪ মাস) কার্যাদেশও প্রদান করা হয়।

অন্য জায়গা না থাকায় পুরনো ভবনটি অকেজো ঘোষণা করে নিলামে ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা। এজন্য কনডেমনেশন কমিটি সভা করে রেজুলেশন প্রক্রিয়ায় আটকে যায় পুরনো ভবনটি অকেজো বা পরিত্যক্ত ঘোষণায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে জেলা প্রশাসক কমিটির সভাপতির অনুমোদন প্রাপ্তিতে চলে গেছে ১২ মাস। গত বছর ৪ মার্চ প্রথম আবেদন থেকে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে অকোজো ঘোষণার বিষয়টি। যে কারণে ঠিকাদার কাজ শুরুই করতে পারেনি আড়াই বছর পরেও।

এদিকে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমসহ অফিস করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আফরিন জানায়, পুরনো ভবনটির পিলারে প্রচুর ফাটল ধরেছে। ছাদেও প্লাস্টার খসে পড়ে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ একাডেমিক ভবনে ক্লাস করতে ভয় পায়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিগারুন নাহার বলেন, পুরনো একাডেমিক ভবন ভেঙে নতুন ৬ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করতে হবে। আলাদা জায়গা নেই। পুরনো ভবনটি জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রকৌশলীরা অকেজো বলে জানিয়েছেন। এটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অকেজো ঘোষণা করে নিলাম প্রক্রিয়ায় ভেঙে ফেলা জরুরি। জরুরি বিধায় তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিগত এক বছরে অন্তত ৫-৬ বার গিয়েছেন। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নারী হয়ে বারবার যাতায়াত তার জন্য কষ্টকরও বটে।

তিনি আরো বলেন, একই ধরণের নির্মাণকাজ আলী কদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন একই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৭০০ ছাত্রীর পড়াশোনায় ভোগান্তি লাঘবে তিনি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষমতা প্রদান অথবা জেলা প্রশাসক সদয় অবগতি হয়ে কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনটি নির্মাণের সুবিধার্থে পুরনো জরাজীর্ণ ভবন অকেজো ঘোষণা করে নিলামে ভেঙে ফেলার অনুমতি দিয়ে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণে সহায়তা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন