কোরআন অবমাননার জেরে লামায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা, আটক ৪
কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনার জেরে বান্দরবানের লামায় গেল বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও পরে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে হামলার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১টি ও পূজামন্ডপে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অপর ১টি মামলাসহ ২টি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে লামা থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লামা পূজামন্ডপে হামলার ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৮ জনকে এজাহার নামীয় ও ৩০০/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ১৪৬ ও অজ্ঞাত আসামি ৫৫০ জন।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দুই মামলায় এজাহার নামীয় ১৪৬ জনকে এবং অজ্ঞাত আরও ৫৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে তাদের নাম এখন প্রকাশ করা হয়নি। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪অক্টোবর) সকালে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বান্দরবানের লামায় প্রথমে মানববন্ধন ও পরে আলেম ওলামাদের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিনের সময় মাছ বাজার এলাকায় মিছিলে ভবনের উপর থেকে ইটপাটকেল ও মরিচ মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে জনতা লামা পূজামণ্ডপের সৌন্দর্য বর্ধণে লাগানো গেইট ভাংচুর করেছে। এ সংঘর্ষে লামা থানার ওসি মিজানুর রহমান’সহ ৭ জন আহত হয়।
পরে ঘটনাস্থলসহ ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।