কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক নাইক্ষ্যংছড়ির জনপ্রতিনিধি

fec-image

নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুতে মাদকে জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রতিনিধি ও মধ্যবিত্ত মানের কিছু পেশাজীবি।
র‌্যাবের অভিযানে গত ১ সপ্তাহে ২ ঘটনায় ১ জন জনপ্রতিনিধি,১ জন নূরানী শিক্ষক ১ জন ড্রাইভারসহ ৪ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটকের পর এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

র‌্যাব সূত্র জানান, রোববার(২৩ ফেব্রুয়ারি) দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ির ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে। এদের একজন বিগত ১৮ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন বর্তমানে এ ব্যবসা করেন। তার নাম ফায়েজ উল্লাহ মেম্বার। পিতা মন্ছুর আলী ।

অপরজন হলো পিকআপ ড্রাইভার আবদুল গফুর। তার পিতার নাম রশিদ আহমদ। তাদের উভয়ের বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের চাকঢালা বাজার পাড়ায়। তাদেরকে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা সহর‌্যাব আটক করে মূহুরী পাড়া থেকে।

ভিন্ন সূত্র মতে র‌্যাব গত ২০ তারিখ অপর একটি চালান আটক করেন রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের কোনার পাড়া থেকে বিপুল ইয়াবাসহ ২ ব্যবসায়ীকে। এদের এক জন হলেন কচ্ছপিয়া গ্রামের প্রাক্তন চৌকিদার জালাল আহমদের ছেলে নূরানী শিক্ষক শামশুল আলম অপর জন হলো রশিদ আহমদের ছেলে কুরবান আলী।

তাদের দু’জনের বাড়িই কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গ্রামে। তারা এখন কক্সবাজর জেলে।

প্রথমোক্ত ঘটনায় আটক ফয়েজ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে হাফেজ আয়াত উল্লাহ সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে জানান,তার পিতা ও অপর আসামি গফুরকে রোববার রাত ৮ টায় আটকের পর গতকাল সোমবার কক্সবাজারের বিজ্ঞ কোর্টে তোলা হয়।

র‌্যাব ১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মো: শেখ সাদী গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করে বলেন, আটক ফয়েজ উল্লাহ মেম্বারসহ অপর আসমি আবদুল গফুর ড্রাইভারকে মূহুরী পাড়া থেকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ হাজার টাকা। আটককৃতরা পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী। তারা নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দা।

ফয়েজ উল্লাহ মেম্বারের নিজ গ্রামের লোকজন জানান, তিনি শান্ত প্রকৃতির লোক ছিলেন। দীর্ঘদিন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে থাকার পর রামু বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনা এবং পুলিশ মারার ঘটনায় পরপর দুটি মামলার আসামি হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন ২ বছর আগে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার সীমান্ত পয়েন্টের কাছাকাছি  এলাকার সচেতন একাধিক লোক বলেন,বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসা জমজমাট এ এলাকায়। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, ঘুমধুম, সোনাইছড়ি ও বাইশারীর আর রামু উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ছাড়াও খুনিয়া পালং, রাজারকূল,খতেখাঁর কূলে এর তৎপরতা বেড়েছে দিনদিন।

পাশাপাশি র‌্যাবের তৎপরতায় সন্তুষ্ট তারা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, ইয়াবা, মাদক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন