parbattanews

কোটি টাকায় বাজার ইজারা নিয়ে আলোচনায় আসা আব্দুর রহমান ইয়াবাসহ আটক

কোটি টাকায় বাজার ইজারা, একাধিক গাড়ি ও বিলাসী জীবন যাপন নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন একসময়কার গাড়ি চালক আবদুর রহমান।

হঠাৎ করে এতো টাকার আয়ের হিসাব মিলাতে পারেনি প্রতিবেশীসহ এলাকার মানুষ। তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠে ইয়াবা ব্যবসার।

মানুষের ধারনাই সত্যি হলো। অবশেষে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ বিজিবির জালে আটকা পড়েছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পাহাড়তলী (মুরারকাচা) গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ জ্জামার ছেলে আবদুর রহমান (৪০)।

বুধবার বিকালে গর্জনিয়া ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকা থেকে ১০ হাজার ১৮৯পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবির ক্যাপ্টেন ওমর মোহাম্মদ খালেদীন এর নেতৃত্বে একটি অপারেশন দল।

আটকের পর বিজিবির জোন সদরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে দুইজনের বিরুদ্ধে।

এদিকে আবদুর রহমান বিজিবির অভিযানে আটকের খবরটি টক অব দ্যা ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এলাকায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে চলছে রহমানের উত্থানের চুলছেরা বিশ্লেষণ।

স্থানীয়রা জানান, আবদুর রহমান ২০০৫ সনের দিকে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া সড়কে ভাড়ায় গাড়ি চালাতো। ২০১০ সনে মাদক ও ডাকাতি মামলায় কারাভোগও করে সে।

কারামুক্তির পর এলাকায় আবারো শুরু করে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানো। গাড়ি নিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার সুযোগে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে।

এরপর থেকে পাল্টে যেতে থাকে তার জীবন যাপন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১কোটি ৭ লাখ টাকায় রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারা নিয়ে এলাকায় ভিন্ন এক পরিচিতি লাভ করে রহমান।

এরপর থেকে এলাকার প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে সে পাত্তা পেতে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের সভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অগ্রভাগেও দেখা যেতো একসময়কার এই সিএনজি চালক রহমানকে।

স্থানীয়রা জানান, রহমান একাধিক মোটরসাইকেল, টমটম, সিএনজিসহ নানা পেশায় বিনিয়োগ করেছে তার অবৈধ টাকা।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির উপ পরিচালক মু: মুজাহিদুল ইসলাম ভুঁঞা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যারা অভিযান চালিয়ে আটক করেছে আবদুর রহমানকে। অভিানকালে ফাক্রিকাটা গ্রামের বদরুজ্জামার ছেলে মো: সেলিম (৪০) নামে অপর একজন পালিয়ে যায় বলে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Exit mobile version