কোরআন ও নবীর অবমাননা রোধে সম্মিলিত পদক্ষেপ চায় ওআইসি
পবিত্র কোরআনের অবমাননা ও সম্মানিত নবী মুহাম্মদ (সা.)- এর অবমাননার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সংস্থাটি বলেছে, ধর্মীয় বিদ্বেষ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক আইন ব্যবহার করা উচিত।
রোববার (২ জুলাই) পবিত্র কোরআনের কপি অপমান একীভূত এবং সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেন ব্রাহিম ত্বহা ।
জেদ্দায় জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে ঈদুল আযহার প্রথম দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ওআইসি সদর দফতর জানায়, ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি সউদী আরবের আমন্ত্রণে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের জরুরি প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিরাম অনুস্মারক পাঠাতে হবে, যা স্পষ্টভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষের কোনো সমর্থনকে নিষিদ্ধ করে।’
মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, সেই শুভ উপলক্ষের প্রথম দিনে, যখন সারা বিশ্বের সব মুসলমান ঈদ উদযাপন করছিলেন, তখন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনের একটি অনুলিপি অপমান করার একটি ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছিল।’
তিনি উল্লেখ করেন যে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ত্বহা একটি সুস্পষ্ট বার্তা পাঠানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন যে পবিত্র কোরআনের অনুলিপিগুলোর অপমান এবং আমাদের সম্মানিত নবী মুহাম্মদকে অপমান করার কাজগুলোকে নিছক সাধারণ ইসলামোফোবিয়ার ঘটনা নয়। সূত্র : ইউএনবি