parbattanews

কোরবানীর ঈদে মেয়েদের সাজ

কয়েকদিন পরেই কোরবানীর ঈদ। যদিও এই ঈদে বাড়ির মা, মেয়ে এবং বউদের সাজ সজ্জার চেয়ে কাজেই বেশি সময় দিতে হয়। ঈদের দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে ব্যস্ততা। তবে যত যাই হোক, ঈদ বলে কথা! সাজগোজ করার জন্য ঠিকই সময় সুযোগ বের করে নিতে হয়।


মনিরা পারভীন সাথী:

ঈদের সকালে গোসল সেরে সালোয়ার কামিজই বেশি পছন্দ মেয়েদের। এতে উৎসবের আমেজও যেমন থাকে, তেমনি ঘরোয়া টুকটাক কাজেও স্বস্তি পাওয়া যায়।

ঈদের সকালে থাকে টুকটাক রান্না বান্নার কাজ। এরপর বাবা, স্বামী ও সন্তানদের নামাজে যাওয়ার জন্য তৈরী হতে সাহায্য করা। তাদেরকে সেমাই, পায়েস, জর্দ্দাসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশন করা। এরপর, বাড়িতে মেয়ে শিশু থাকলে তাদেরকে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়া। এতোসব কাজের সময় কিন্তু বেশি ভারি কাপড় বা সাজসজ্জা মানানসই এবং আরামদায়ক কোনটাই হয়না।

সেজন্য ঈদের সকালের জন্য বেছে নিতে হবে সিম্পল, আরামদায়ক ও সহজে হাটাচলা করা যায় এবং কাজে ব্যাঘাত না ঘটায় এমন সব পোষাক। সেই সাথে হালকা সাজ। মুখে সামান্য ফেস পাউডার বুলিয়ে, চোখ কাজল এবং ঠোটে হালকা লিপস্টিক লাগালেই সকালের সাজ কমপ্লিট।

দুপুরের দিকে সাধারণত কোরবাণী কমপ্লিট হয়ে যায়। এসময় মেয়েদের ব্যস্ত থাকতে হয় মাংস কাটা, পরিস্কার করা, ধোয়া এবং সংরক্ষণের কাজে।এরপর শুরু হয় রান্নার ব্যস্ততা। এসময় যতটা সম্ভব আরামদায়ক ও সহজে ময়লা হয়না এমন কাপড় পরতে হবে। সেসময়ে সাজসজ্জা না করাই ভালো।

দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে বাসায় আসা অতিথি আপ্যায়ন অথবা আশে পাশে কোথাও বেড়াতে যেতে চাইলে মানিয়ে যায় যেকোন পোষাকেই। তবে এসময় চলছে লম্বা এবং বেশি ঘের দেয়া ফ্রক টাইপের কামিজ।তাছাড়া হালকা রঙের শাড়ির সাথে হালকা সাজ ও গহনাও কিন্তু খারাপ লাগবেনা।

ঈদের রাতে কোন দাওয়াতে গেলে অবশ্যই গাঢ় রঙের গর্জিয়াস ডিজাইনের শাড়িই সবচেয়ে মানানসই। সেই সাথে গাঢ় মেকআপ এবং ট্র্যাডিশনাল ভারি গহনা। তবে শাড়িতে স্বস্তি বোধ না করলে বেছে নেয়া যায় গাড় রঙের সিল্কের সালোয়ার কামিজ। সেই সাথে ভারি মেকাপ যোগ করবে নতুন মাত্রা।

তবে, রুপসজ্জা বিশেষজ্ঞরা যাই পরামর্শ দিক না কেন, প্রত্যেককেই বেছে নিতে হবে এমন পোষাক ও সাজসজ্জা যা নিজের বয়স, গায়ের রঙ, চেহারা ও পরিবেশের সাথে মানানসই হয়। তা না হলে কিন্তু পুরো ঈদের সাজটাই মাঠে মারা যাবে।

Exit mobile version