হোম কোয়ারেন্টিন মানছে না বহিরাগত এনজিও কর্মীরা

fec-image

করোনাভাইরাস মহামারি এখন বিশ্বজুড়ে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন মুখ এবং আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মানবতার শহর কক্সবাজার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দেশ-বিদেশি এনজিও কর্মীদের আনা-গোনায় স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এবং কক্সবাজারের মোনায়েম খাঁন, আনছার হোসেন, ও এবি ছিদ্দিকসহ বেশ কজন সিনিয়র সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনজিও কর্মীরা দলে দলে কক্সবাজারসহ উখিয়ায় চলে আসায় বাড়ছে আতঙ্ক। আগের মতো কড়াকড়ি না থাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এনজিও কর্মীরা বিচরণ করছেন।

গত ৩১ মে থেকে সারাদেশ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চাকুরে শত শত এনজিওর হাজার হাজার কর্মী উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজারে ফিরে এসেছে। তাদের অধিকাংশ কাজে যোগ দেওয়ার আগে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেনি বলে জানা গেছে। তবে কিছু কিছু এনজিও তাদের নিজস্ব উদ্যেগ ও দায়িত্ববোধ থেকে তাদের কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার খবর পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের কড়াকড়ি রয়েছে।

সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টিনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তবে বাস্তবায়ন করতে না পারলে করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তাদের। ঢাকা নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত এনজিও কর্মীদের কোয়ারেন্টিনে বাধ্য করার দৃশ্যই চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে নাগরিক হিসেবে আমাদের সতর্কতার মাপকাঠি। ১৪ দিন সমাজ , রাষ্ট্র এমনকি পরিবারের কাছ থেকে তাদের আলাদা থাকার কথা বলেও তা আমলে নিচ্ছেন না অধিকাংশই।

আবার প্রশ্ন উঠেছে বিপুল সংখ্যক এনজিও কর্মীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব কিনা? সেক্ষেত্রে অনেককে বাসা-বাড়িতে নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টিনে নিশ্চিত করতে দেখা গেছে।

পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহ্বায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, জোর করে সব সময় পারা যায় না। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর জননিরাপত্তার স্বার্থেই হোম কোয়ারেন্টিনে বাস্তবায়নে এখনই আইন প্রয়োগ করে দেখাতে হবে। তিনি বলেন তাদের নিয়মিত ফলোআপে রাখতে হবে। কয়েকজনের মধ্যে আইন প্রয়োগ করলেই এটা ঠিক হয়ে যাবে। স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে বাস্তবায়ন না হলে করোনা মহামারী আকার ধারণ করতে পারে শঙ্কা তাদের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এনজিও কর্মীরা, হোম কোয়ারেন্টিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন