ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ১০ ইউটিউব চ্যানেল সক্রিয়

fec-image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলাদেশী টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের চেয়ে মিয়ানমারের চ্যানেলের কদর বেশি রোহিঙ্গাদের। তাই দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারাও তাদের নিজস্ব চ্যানেলকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের মহা সমাবেশসহ নানান খবর নিয়ে এসব চ্যানেল গুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে,  দেশের বাইরে থেকে বেশির ভাগ চ্যানেল পরিচালিত হয়। আর এর জন্য কিছু ফুটেজ পাঠানো হয় রোহিঙ্গা শিবির থেকে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মধ্যে এসব টিভি চ্যানেলের একধরনের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে।

গত ৪ দিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। তিনি এসময় লোকাল প্রশাসন এবং ক্যাম্প প্রশাসন কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনকে নিতে হবে। এজন্যে রোহিঙ্গাদদের ব্যবহৃত সকল মোবাইল সিমও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যাতে ২৫ আগস্টের মতো মোবাইল ব্যবহার করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা জড়ো হতে না পারে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের অনলাইনভিত্তিক কিছু চ্যানেলের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিবিরে সাড়ে পাঁচ লাখ লোকের হাতে মুঠোফোন থাকার তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গত মঙ্গলবার থেকে বিটিআরসি রোহিঙ্গা শিবিরে ১৩ ঘণ্টা ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়।

শিবিরে সক্রিয় যে অনলাইন টিভিগুলোর নাম জানা গেছে তার মধ্যে আরও রয়েছে, ‘রোহিঙ্গা পিস টিভি’, ‘রোহিঙ্গা নিউজ আরাকান টিভি’, ‘আরাকান আর ভিশন’, ‘আরাকান টাইমস’, ‘রোহিঙ্গা নিউজ’, ‘আরাকান টাইম টুডে’, ‘রোহিঙ্গা টিভি’, ‘আরাকান নুর’, ‘এএনএ’ টিভি। এসব টিভিতে খবর ও অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় রোহিঙ্গা ভাষায়। সরাসরি ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা ইউটিউবে এসব চ্যানেল দেখা যায়। এ ছাড়া অনেক টিভিরই ফেসবুক পেজ রয়েছে। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব চ্যানেল পরিচালিত হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির থেকে এসব চ্যানেলের জন্য কিছু ফুটেজ পাঠানো হয়। এসব ফুটেজ আবার বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে শেয়ার করেছে রোহিঙ্গারা। এসব ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রবাসী রোহিঙ্গা ও শিবিরে থাকা কিছু যুবক।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউটিউব চ্যানেল, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন