“রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি 'সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনসাধারণ' শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারলেও ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না।”

ক্যাম্প অধ্যুষিত এলাকায় থ্রিজি-ফোরজি বন্ধ: ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনসাধারণ

fec-image

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনায় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প অধ্যুষিত অঞ্চলে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।

বিটিআরসির সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন নিশ্চিত করেন,” বিটিআরসির নির্দেশনা দেওয়ার পর গত সোমবার কাজ শুরু করে অপারেটরগুলো ও মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে তা কার্যকর হয়েছে।”

এদিকে নির্দেশনার ফলে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনসাধারণ’ শুধু মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারলেও ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না।

এর আগেও বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক শরণার্থী শিবির এলাকায় বসবাস করা স্থানীয়রা বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা থ্রিজি ও ফোরজি সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল দীর্ঘদিন ধরে।তবে এবারের নির্দেশনা অনির্দিষ্টকালের জন্য থ্রিজি-ফোরজি নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় গ্রাহকরা।

স্থানীয় কেউ কেউ বলেন, “জীবন যাত্রায় ১ধাপ পিছিয়ে পড়ে গেল স্থানীয়রা।”

শাহারীয়ার নামের এক ব্যক্তি বলেন, “রোহিঙ্গাদের কারণে থ্রিজি-ফোরজি বন্ধ রাখাটা স্থানীয়দের জন্য অবিচার হয়েছে। সিম ও মেবাইল অপারেটরদের প্রয়োজন ছিল রোহিঙ্গাদের সিম ও মেবাইল ব্যবহার বন্ধ করা। আমরা স্থানীয়রা তাদের জন্য আর কি হারাবো?”

স্থানীয় ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,”রোহিঙ্গাদের যেন আশকারা দিচ্ছে সরকার। কারণ রোহিঙ্গারা ঠিক ক্যাম্পে বসে মিয়ানমারের সিম ও নেটওর্য়াক ব্যবহার করছে। তাদের কার্যক্রম ঠিক চালাচ্ছে তারা। মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিতে হবে। কেবল থ্রিজি-ফোরজি বন্ধ করা সমাধান নয়। একমাত্র অবৈধ সিম ও মোবাইল উচ্ছেদ করা না হলে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম আটকানো কঠিন হবে।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন