ক্যারিবীয় ঘূর্ণিঝড় মেলিসার ধ্বংসযজ্ঞ তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪


ক্যারিবীয় সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’ জ্যামাইকা ও হাইতিতে তাণ্ডব চালিয়ে এখন বারমুডার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ পর্যন্ত দুই দেশে অন্তত ৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
জ্যামাইকার তথ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, কেবল তাদের দেশেই মারা গেছেন ১৯ জন। আর হাইতিতে শিশুসহ ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সেখানে ২০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
হাইতিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি নদীর বাঁধ উপচে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এসব প্রাণহানি ঘটে। দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি পরিষদের প্রধান লরেন্ট সেন্ট-সি একে দেশের জন্য “অত্যন্ত দুঃখের মুহূর্ত” বলে মন্তব্য করেছেন।
গত মঙ্গলবার ক্যাটাগরি-৫ হারিকেন হিসেবে জ্যামাইকায় আঘাত হানে মেলিসা। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সেন্ট এলিজাবেথ ও ব্ল্যাক রিভার এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় এটি। প্রবল বাতাসে হাজার হাজার ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, অনেক ভবন ভেঙে পড়েছে, সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত, প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ হারিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ঘণ্টায় প্রায় ২৯৮ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৮৫১ সালের পর জ্যামাইকায় আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এটি।
হাইতি ও জ্যামাইকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে, তবে অনেক অঞ্চলে এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভূমিধস ও পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এখনো মোট ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাহামা ও বারমুডার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে পূর্ব কিউবায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান

















