parbattanews

ক্রেতা সেজে অভিযান : ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডীতে ৬ দোকানিকে সাত দিনের কারাদণ্ড

চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশেরমত প্রশাসন কক্সবাজার জেলার সব রকম শপিংমল সরকারি নির্দেশনামত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ইতিপূর্বে৷ প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মুনাফালোভী কিছু দোকানদার কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে বেচা কেনা অব্যাহত রাখে।

এ সংবাদে কক্সবাজার সদরের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো, শাহরিয়ার মুক্তার একাধিকবার দোকানদারদের সতর্ক করে আর্থিক জরিমানা করেন। কিন্তু এতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ভোর রাত থেকে লোভি দোকানীরা দোকান খুলে চড়া মূল্যে বেচা কেনা করতে থাকে। এতে করে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে করোনা ঝুকির আশঙ্কা বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়।

দোকান খোলা রাখার সংবাদ পেয়ে ২১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকালে ক্রেতা সেজে সদর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার মুক্তার বাজারের ডিসি সড়কস্থ দুইটি মার্কেটে অভিযানে নামে। এসময় হাতে নাতে ৪ দোকানদারকে আটক করে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ।

এ সংবাদ মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে পুরো বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায় দোকানিরা। আটককৃতদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে কক্সবাজার শহরে ফেরার পথে সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডী বাজারে অভিযান চালিয়ে আরও দুই দোকানীকে আটক করে একই দন্ড দেন।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার মুক্তার জানান, এ মহামারি থেকে সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের কোন ছাড় নেই এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুশিয়ারি দেন।

অভিযানকালে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশের একটি চৌকস দল ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।

Exit mobile version