parbattanews

ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হবে- খালেদা জিয়া

khaleda zia

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নামের রূপকল্প ঘোষণা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে তিনি বলেন, পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম ও মর্যাদা সুরক্ষা করা হবে। অনগ্রসর পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর চাকুরী ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল সুবিধা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর ভাষা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় এবং সুষম উন্নয়নে বর্ধিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠী উন্নয়ন অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।  চা-বাগানে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ ও মানবাধিকার লংঘন বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের অবসান ঘটাতে চায়।

“আমরা চাই সকল মত ও পথকে নিয়ে এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি লালন ও পরিপুষ্ট করতে যে সংস্কৃতি বাংলাদেশকে একটি রেইনবো নেশনে (রঙধনু জাতিতে) পরিণত করবে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, যে ভিশন-৩০ উপস্থাপন করলাম তা অর্জন করা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। আমরা লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশটাকে উন্নত ও মর্যাদাবান হিসেবে পরিণত করার দায়িত্ব সবার। আশা করি, এই ভিশন বাস্তবায়নে দেশবাসীর সক্রিয় সমর্থনের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানসমূহেরও সহযোগিতা পাবো। বুধবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ৩৭টি পয়েন্টের উপর দলের অবস্থান তুলে ধরেন বেগম জিয়া।  বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং আমাদের আপোষহীন ও সংগ্রামী ভূমিকা বিবেচনা করে দলমত নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিক এই ভিশন বাস্তবায়নে সক্রিয় সমর্থন জানাবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

এর আগে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, যেকোনো দেশের জনগণ বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ছাড়া এগুতে পারে না। দেশের ১৬ কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখে একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের। রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে জাতিকে উন্নত সোপানের পথে পরিচালিত করা। এ পথ বাধা-বিঘ্ন মুক্ত নয়।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশেষজ্ঞ ও দলীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ প্রস্তুত করেছি। আপনাদের মতামত ও পরামর্শ সাপেক্ষে এটিকে আরও পরিশীলিত করার সুযোগ রয়েছে। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় এসব লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করি।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার অর্থ্যাৎ একটি যথার্থই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে ভিশন-৩০ বাস্তবায়ন করা হবে জানান তিনি।

খালেদা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণই হবে সব উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। যে সব বাধা জনগণের মেধা, শ্রম, উদ্যোগ এবং উৎসাহকে দমিয়ে দেয় সেগুলোকে দূর করে বিএনপি বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে ভিশন-৩০ প্রণয়ন করেছে।

Exit mobile version