ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সম্বোধনে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার সংবিধান লঙ্ঘন স্বীকার করলো টিআইবি
স্টাফ রিপোর্টার:
উপজাতিদের সম্বোধনে ‘আদিবাসী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকলেও টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
বিষয়টি আইনের লঙ্ঘন কিনা- সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গবেষণার কাজ সহজীকরণের ক্ষেত্রে আমরা আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছি। তবে এটি সংবিধান লঙ্ঘন করে বলেও মেনে নিচ্ছি। এ কারণে যদি আমাদের শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়, আমরা তা মাথা পেতে নেব।’
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও দলিতদের অধিকার ও সেবা প্রদানে বৈষম্য এবং সেবা প্রদানে শুদ্ধাচারের নানাবিধ ঘাটতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে “বাংলাদেশের আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী: অধিকার ও সেবায় অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়” শীর্ষক প্রণীত এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে রবিবার(১০ মার্চ) টিআইবি’র ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া। গবেষক দলের অপর সদস্যরা হলেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মোস্তফা কামাল এবং ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম।
গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি বৈষম্য নিরসনে ১৩ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। গত এক বছর ধরে চালানো গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।
সংস্থাটির মতে, ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে উপজাতিদের কোটাও বাদ পড়ে যায়। অথচ উপজাতিরা নানা সামাজিক সেবা থেকে বঞ্চিত।
১৩ দফা সুপারিশের প্রেক্ষিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীরা নানাভাবে আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে নানাভাবে এ জাতি পিছিয়ে পড়ছে’।
তিনি বলেন, দলিতদের ‘ঐতিহাসিক কাঠামো ও আধিকার’ নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে তাদের সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। সমাজে তারা অবহেলিত-লাঞ্ছিতের শিকার হচ্ছেন। ‘আদিবাসী ও দলিতদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান’ জানিয়ে তিনি তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দাবি জানান।
এটা বাংলাদেশ
নিজের পাছায় নিজে বাশঁ ডুকায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলে!
এত এত সুযোগ সুবিধা শিক্ষা চাকুরীতে কোটা তারপরও তাদেরকে সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিতের অভিযোগ টিআইবির শয়তানী কাজ।
৫০০০ বছরের পুরনো বাঙ্গালীই এভূখন্ডে আদিবাসী ৩০০ বছর আগের ক্ষুদনৃগোষ্টী নয়।