ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করায় সরকারের প্রতি গুর্খাদের কৃতজ্ঞতা

fec-image

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে গুর্খা সম্প্রদায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রাঙ্গামাটির গুর্খা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অভিনন্দন জানান তিনি।

এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বলেই দেশের সকল জনগোষ্ঠীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পরে সরকারি নীতি অনুসরণ করে যেসব সুবিধা তারা পাবেন, সেসব সুবিধা তাদেরকে প্রদান করা হবে বলে গুর্খা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দককে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও সঙ্গীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা, সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর, সঙ্গীত শিক্ষক দীলিপ বাহাদুর, শিক্ষক মঙ্গল ছেত্রী ও উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নিপু মায়া ছেত্রী উপস্থিত ছিলেন।

সংবিধানে নিজেদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মনোজ বাহাদুর গুর্খা বলেন, পাহাড়ের অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় গুর্খা সম্প্রদায়ের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, কৃষ্টি ও কালচার। তাই প্রত্যেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুর্খা সম্প্রদায় যেন তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পায় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি চেয়ারম্যনকে অনুরোধ করেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ গেজেটের এস, আর ও, নং-৭৮-আইন-২০১৯, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ২৩ নং আইন)এর ধারা ১৯ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার উক্ত আইনের তফসিলের পরিবর্তে নতুন তফসিল প্রতিস্থাপন করে তফসিল ধারা ২(১) ও ধারা ১৯ দ্রষ্টব্যের ক্রমিক নং ৩০ এ গুর্খা সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

সূত্র: Southeast Journal

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন