খতীবের অপসারণ চেয়ে ক্ষুব্ধ মুসল্লীদের থানায় অভিযোগ
কক্সবাজার হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন খানেকাহ হামেদিয়া জামে মসজিদে শরিয়াহ বিরোধী কার্যক্রম বন্ধ ও খতীব মাওলানা মোহাম্মদ আলমের অপসারণ চেয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুসল্লীগণ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সাধারণ মুসল্লী কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা সাগর, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুসল্লী কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব ডাক্তার মুহাম্মদ আমিন, মুসল্লী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলি হোসাইন বাবুলের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত মুসল্লিরা থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মাওলানা মোহাম্মদ আলম জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন সময় ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কথাবার্তা আলোচনা করে সাধারণ মুসল্লিদেরকে বিভ্রান্ত করছেন।
ভিন্নমতের মুসল্লীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নাজেহাল করেছেন বেশ কয়েকবার। প্রতিনিয়ত শান্তি-শৃঙ্খলা ও সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে চলেছেন। তার আচরণের কারণে মুসল্লীরা দিন দিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে, কয়েকদিন পূর্বে তাবলীগ জামাতের স্থানীয় আমীর হাফেজ সৈয়দুল আলম এবং আহলে হাদীসের অনুসারী মুসল্লী মাহবুবুল ইসলাম শারীরিকভাবে নাজেহাল ও জোরপূর্বক মসজিদ থেকে বের করে দেন মাওলানা মোহাম্মদ আলম।
গত রমজানে ইতিকাফকালে স্থানীয় মুসল্লী আমিনুল ইসলামকে অপমানিত করেন এবং ইতিকাফ ভেঙ্গে চলে যেতে বাধ্য করেন। খতীব মাওলানা মোহাম্মদ আলমের বিরুদ্ধে এরকম আরো অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে মসজিদ কমিটির কাছে।
শীঘ্রই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ না করা হলে মসজিদে উগ্রপন্থিদের জন্ম ও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন সৃষ্টির মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পুলিশ সুপার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
মুসল্লী কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে ও সদস্য সচিব মুহাম্মদ নুরুচ্ছফা সাগরের স্বাক্ষরে পাঠানো অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি জুমার নামাজের পরে মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফজল কোম্পানির সন্তান বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলামের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম হাসান মুসল্লীদের স্বাধীনভাবে এবাদত বন্দেগিতে বাধা প্রদান না করার জন্য খতীব মাওলানা মোহাম্মদ আলমকে অনুরোধ করেন।
এসময় খতিব ও তার লালিত কিছু উগ্রপন্থী চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলাম হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। ওই ঘটনার পরে সাধারণ মুসল্লীসহ স্থানীয়রা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। মৌলভী মোহাম্মদ আলমসহ তার অনুসারীদের দমনের দাবি উঠেছে সর্বস্তর থেকে। অন্যথায় খানেকা মসজিদে এবাদতের পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে সাধারণ মুসল্লীরা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে মুসল্লীদেরকে আরও ধৈর্য ধারণের অনুরোধ করেছেন।