খাগড়াছড়িকে সম্প্রীতির জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : ব্রি.জে. হাসান মাহমুদ


“খাগড়াছড়িকে পাহাড়ি-বাঙালির মিলনে সম্প্রীতির মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই পথচলায় সাংবাদিকদের সহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রিজিয়ন কমান্ডারের আহ্বানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল উৎসাহব্যঞ্জক।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদই পারে সেতুবন্ধন গড়তে: সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন,“খাগড়াছড়ি এমন একটি অঞ্চল, যেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী শতভাগ সহাবস্থানের মধ্যে রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুনিষ্ঠ, গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনতে পারে।”
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আরও আহ্বান জানান, স্থানীয় ইস্যু, সংস্কৃতি ও সাধারণ মানুষের গল্পগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরার মাধ্যমে জেলার ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে।
প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ : অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেন। তাদের অনেকে সভায় ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেন এবং পার্বত্য অঞ্চলের যোগাযোগ, নিরাপত্তা ও সাংবাদিকতা পরিচালনায় নানা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
উপস্থিত ছিলেন সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা : এ সময় খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিনসহ রিজিয়ন ও জোন পর্যায়ের অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উদ্দেশ্য- পার্বত্য শান্তি ও উন্নয়নের যৌথ যাত্রা : এই মতবিনিময় সভা ছিল শুধু এক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়; বরং এটি ছিল পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যৌথ যাত্রার একটি প্রারম্ভিক বার্তা।
সভার শুরুতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রিজিয়ন কমান্ডার, এবং ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও নিয়মিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিভোজের আয়োজন করা হয়।