খাদ্য ও অর্থ বরাদ্দে ত্রিপুরা, মারমা ও বাঙালি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করার অভিযোগ

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

fec-image

‘অন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য উপদেষ্টা কেবল একটি গোষ্ঠীকে সুযোগ দিয়ে ত্রিপুরা, মারমা ও বাঙালি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করেছেন। পার্বত্য মন্ত্রণালয় কোনো একটি গোষ্ঠীর জন্য নয় এটি সকল সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্ত এখানে প্রচণ্ডভাবে বৈষম্য করা হয়েছে’ বলে  খাগড়াছড়িতে পার্বত্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিতরা।

জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ প্রকল্পে খাদ্যশস্যে অর্থ বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই অনিয়মের প্রতিবাদ ও বৈষম্যমূলক বন্টনের অভিযোগে রোববার সকালে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ ত্রিপুরা-মারমা জনগোষ্ঠী ও সচেতন নাগরিক সমাজ। শহরের শাপলা চত্বর মুক্ত মঞ্চে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় খাদ্যশস্যে অর্থ নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে বরাদ্দ দিয়ে বৈষম্য করে যাচ্ছেন।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমাকে পদ থেকে অপসারণের দাবি তুলছেন বিক্ষুব্ধরা। আর এ দাবি মানা না হলে বিক্ষুব্ধরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে এবং অবরোধ কর্মসূচি পালনের আল্টিমেটাম দিয়ে সমাবেশ শেষ করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মারমা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেল মারমা। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য উপদেষ্টা কেবল একটি গোষ্ঠীকে সুযোগ দিয়ে ত্রিপুরা, মারমা ও বাঙালি গোষ্ঠীকে বঞ্চিত করেছে। পার্বত্য মন্ত্রণালয় কোনো একটি গোষ্ঠীর জন্য নয় এটি সকল সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্ত এখানে প্রচণ্ডভাবে বৈষম্য করা হয়েছে। প্রথমবারে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৫১ মেট্রিক টন, তারপর বরাদ্দ হয়েছিল ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন বরাদ্দে আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে।

বক্তারা তাদের নির্দিষ্ট ৪টি দাবি তুলে ধরেন। এক. সুপ্রদীপ চাকমাকে অপসারণ করতে হবে, দুই. তাঁর সহচর যুগ্ম সচিব কংকন চাকমাকে অপসারণ করতে হবে, তিন. খাদ্যশস্যসহ যেকোনো বরাদ্দে সুষম বন্টন করতে হবে এবং চার. পার্বত্য চট্টগ্রামে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নায্যতার ভিত্তিতে সকল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সরোজ কান্তি ত্রিপুরা, আব্রে মারমা, মারমা যুব নেতা ইঞ্জিনিয়ার ক্যরী মগ, যুব নেতা উজ্জল মারমা, নারী নেত্রী মউক্রাচিং মারমা, অংগ্য মারমা, মারমা যুব সমাজ নেতা, চাইহ্লাপ্রু মারমা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন