খাগড়াছড়িতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে জেলা ও দায়রা জজের ত্রাণ বিতরণ
বৃষ্টি না হওয়ায় খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি দিকে। রাস্তাঘাট ও বাড়ি-ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। অনেকে ঘরবাড়ির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছে। যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গেছে তারা আছেন খোলা আকাশের নিচে, কি করবেন তা নিয়ে আছেন দু:চিন্তায়।
এদিকে, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গত দু’দিনের মতো আজও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় সরবরাহ করছে খাগড়াছড়ি সদর জোন, মহালছড়ি জোন, দিঘীনালা জোন, বাঘাইহাট জোন, লংগদু ও মারিশ্যা জোনের সেনা সদস্যরা। প্রায় ৫০ হাজার লোকজনকে এসব সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গত দু’দিনের উদ্ধার তৎপরতা এবং আজকের ত্রাণ কর্যক্রমে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
এছাড়া খাদ্য সহায়তা নিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন। আজও খাগড়াছড়ি শহরের আশে-পাশের এলাকায় শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। তিনি এই কার্যক্রম চলমান রাখার ঘোষনা দিয়েছে।
অপরদিকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার ও স্যালাইনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার জানান, এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। মাঠে কাজ করছে প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী। যতদিন মানুষ নিজ বাড়ী-ঘরে ফিরতে পারবে না, ততদিন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা এবং নয় উপজেলা প্রশাসন। ৪১২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে নয় উপজেলা, তিন পৌরসভা ও ৩৮ ইউনিয়নে। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গেছে তাদেরকে ঘরবাড়ি নির্মানে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।