নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায়

খাগড়াছড়িতে মধু পূর্ণিমা উদযাপন

fec-image

খাগড়াছড়িতে নানা ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে মধু পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশ-জাতি তথা সকলের মঙ্গল কামনায় মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের গোলাবাড়ী আর্য অরণ্য ভাবনা কুঠিরসহ বৌদ্ধ নর-নারীরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। এছাড়াও বুদ্ধ মূর্তি প্রতিস্থাপন, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড দান ও উপগুপ্ত ভান্তে আসন নির্মাণসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে ক্ষান্তিপুর বন বিহারের অধ্যক্ষ আর্যবোধি, মহাস্থবির ভান্তে, গোলাবাড়ী আর্য অরণ্য ভাবনা কুঠিরের অধ্যক্ষ জ্ঞান আনন্দ স্থবির ভান্তে উপস্থিত দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন। এসময় বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা অংশ গ্রহণ করেন।

দিনটিতে ধর্মপুর আর্যবন বিহার, য়ংড বৌদ্ধ বিহার, পানছড়ি অরণ্য কুঠিরসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে পালন করা হচ্ছে। সাধারণত বাংলা বছরের ভাদ্র মাসের এ পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মধু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করে থাকেন।

সাধারণত বাংলা বছরের ভাদ্র মাসের এ পূর্ণিমাকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মধু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করে থাকেন।

আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে তথাগত বুদ্ধ এক বনে তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস অধিষ্ঠান করছিলেন। এ পূর্ণিমায় এক বুনো হাতি বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করে বৌদ্ধ দান করতে দেখে। একটি বানর মৌচাকের মধু সহ নিয়ে তপস্যা রত বুদ্ধকে মৌচাক সহ মধু দান করেছিল। বানরের দান করা মধু গ্রহণ করে বুদ্ধ পরিতৃপ্তি লাভ করেন। মূলত এ ঘটনাকে স্মরণ করেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে মধু পূর্ণিমা হিসেবে পালন করে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন